প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আরও ১৮ হাজার ৫০০ টন চাল নিয়ে তৃতীয় জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে বুধবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে এসব চাল খালাস শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের চলাচল সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক দফতরের প্রধান আবু নাঈম মোহাম্মদ সফিউল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, এবার এমভি ক্যারেম জাহাজে এসেছে ১৮ হাজার ৫০০ কেজি চাল। এর আগে দুই দফা লাইটার জাহাজে করে চাল আমদানি করা হলেও তৃতীয় দফায় মাদার ভ্যাসেলে করে চাল আমদানি করা হয়েছে।
চাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেভেন সিস শিপিং লাইনের মালিক মোহাম্মদ আলী আকবর বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান তিন প্যাকেজে চাল সরবরাহের টেন্ডার পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে ভারত থেকে এ চাল আনা হচ্ছে।’
এমভি সেঁজুতি জাহাজ গেল ২৩ ডিসেম্বর ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে সরকারি চালের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছিল। প্রথম চালানে চাল ছিল চার হাজার ১১৩ টন। একই জাহাজে করে দ্বিতীয় পর্যায়েও চাল আনা হয়েছিল। গেল ৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় জাহাজটিতেও এসেছিল আট হাজার কেজি চাল।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা কন্টেইনার
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গবেষণা বলছে, পরপর চার দফা বন্যায় এবার ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে ১৫ লাখ টন চাল কম উৎপাদন হতে পারে। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হবে, তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা। এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান-চাল দুটোরই দাম গতবছরের তুলনায় বেশি।
ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম বেড়েছে নয় দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ইরি বা স্বর্ণার মতো মোটা চালের দাম ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম বা লতার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।