বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া অবকাঠামো খাতের মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও লটারির ড্র আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
রাজধানীর লেকশোর হোটেলের লা ভিটা হলে সকালে এ ড্র হবে।
বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে গত বছরের ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইপিও আবেদন নিয়েছিল কোম্পানিটি।
এর আগে যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণে নিলামে অংশ নেন। এতে কোম্পানিটির শেয়ারের দর নির্ধারণ করা হয় ৬০ টাকা। এই দরের ১০ শতাংশ কম দামে অর্থাৎ ৫৪ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে আবেদন করেন।
কোম্পানিটি ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহে দুই কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার ছাড়বে পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে ৫৪ টাকা দরে এক কোটি তিন লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭টি শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এবং ৬০ টাকা দরে এক কোটি তিন লাখ ৮৫ হাজার ৮০০টি শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
সম্প্রতি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া পাঁচ কোম্পানির নিলামে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের দর বেশি নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের ৭৫৫তম সভায় এসব কোম্পানিতে যেসব যোগ্য বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছিলেন তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়। পাঁচ কোম্পানির মধ্যে একটি ছিল মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড।
শাস্তি হিসেবে জানানো হয়, বিল্ডিংয়ে যেসব যোগ্য বিনিয়োগকারী কাট-অফ প্রাইসের ২০০ শতাংশের বেশি দাম বিড করেছেন তারা পরবর্তী তিনটি আইপিওতে অংশ নিতে পারবেন না। ১৫০-২০০ শতাংশের বেশি বিড করা বিনিয়োগকারীরা দুটি এবং ১০০-১৫০ শতাংশের বেশি বিড করা ব্যক্তিরা একটি আইপিওতে অযোগ্য হবেন।
এ তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) ও ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
গত বছরের ৪ নভেম্বর আইপিও অনুমোদন পায় মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড। শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে পাওয়া অর্থ প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খাতে ব্যয় করবে।