বিদেশি মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল (প্যারেন্ট) কোম্পানি বা শেয়ারগ্রহীতার কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ নেয়ার প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের পরিধি ও সময়সীমা দুটোই বেড়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, প্রস্তুতকারক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো সেবাখাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন থেকে তাদের বিদেশি প্যারেন্ট কোম্পানি বা শেয়ারগ্রহীতাদের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদী চলতি মূলধনী ঋণ নিতে পারবে।
তবে এ সুবিধা ট্রেডিং বা ব্যবসা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, উৎপাদন ও সেবা কার্যক্রম শুরু থেকে ৬ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। আগে এই সুবিধা নেয়ার সময়সীমা ছিল সর্বোচ্চ ৩ বছর।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, বিনিময়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রায় এই ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধের সময় হবে সর্বোচ্চ এক বছর।
তবে প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে ঋণ বাবদ প্রাপ্ত বিদেশি মুদ্রা টাকায় রূপান্তরের পর তার ওপর ব্যাংকের বিদ্যমান ৩ মাস মেয়াদী আমানতের প্রযোজ্য সুদসহ ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবে।
এ বিষয় ২০১৯ সালে জারি করা সার্কুলারের নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারবে সেসব কোম্পানি। নগদ টাকা ও সুদ বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তর করে মেয়াদ শেষে পরিশোধ করতে হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন নির্দেশনায় ঋণ গ্রহণের সময়সীমা দ্বিগুন করায় বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনেকটা স্বস্তি পাবে। সামগ্রিকভাবে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে।’
করোনাকালে দেশে কাজ করা বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহৎশিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের জন্য গঠিত ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করা বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এ জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা।