দেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।
এ জন্য পুঁজিবাজারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তপক্ষ মত বিনিময়ে আগ্রহী বলে জানালেন তিনি।
রোববার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে আসেন যুক্তরাজ্যের হাইকামিশনার। তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুয়াইয়াতুল ইসলাম-এর সঙ্গে বৈঠক করে এ আগ্রহের কথা জানান।
দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে যুক্তরাজ্য স্টক এক্সচেঞ্জ কাজ করলে এটি হবে দ্বিতীয় দেশ। চীনের স্টক এক্সচেঞ্জ এরই মধ্যে ডিএসইর শেয়ার কিনে বাজারের অংশীদার হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিশনের ব্যক্তিগত কর্তকর্তা মো. রাশেদ। তিনি বলেন, ‘বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে তার আগ্রহের কথা বলে গেছেন।’
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে আমি একটি কর্মশালায় ছিলাম। যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এসেছিলেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে কীভাবে আরও গতিশীল করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
২০১০ সালের ধসের এক দশক পার হওয়ার পর সম্প্রতি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আবার চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ফিরতে শুরু করায় লেনদেন বাড়ছে। গত ১০ কার্যদিবসে পাঁচ বার দুই হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এই সময়ে গড় লেনদেনও দুই হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই।
গত এক বছরে বাজারে মূল্য সূচক বেড়েছে এক হাজার আটশ পয়েন্টের মতো। এর চেয়ে আগ্রহোদ্দীপক বিষয় হলো পড়তি বাজারে বাজারে দুর্বল শেয়ারের যে আধিপত্য দেখা গেছে এতদিন, তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। দুর্বল শেয়ারের দাম কমছে টানা। অন্যদিকে ফান্ডমেন্টাল কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ছে।