শস্য রপ্তানিতে মার্চ থেকে বাড়তি কর আরোপ করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এতে দেশটি থেকে গম আমদানিতে কোনো জটিলতা তৈরি হলে পণ্যটি ইউক্রেন থেকে কেনার পরিকল্পনা বাংলাদেশের।
করোনাভাইরাস সংকটে রাশিয়ার অভ্যন্তরেই বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। এমন অবস্থায় এসব পণ্য রপ্তানিতে শুক্রবার অতিরিক্ত কর আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী।
বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি কেজি আটা পাওয়া যাচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়। রাশিয়া থেকে উচ্চ করে গম আমদানি করলে ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়তে পারে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে সবশেষ আউশ ও আমন মৌসুমে ধানের পর্যাপ্ত ফলন না হওয়ায় এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে চালের দাম বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল আদমানিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে আটার দামও বেড়ে গেলে তা বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য।
তাই আগেভাগেই রাশিয়ার বিকল্প ভাবতে শুরু করেছে সরকার। রাশিয়ার পরিবর্তে তাদের পাশ্ববর্তী ইউক্রেন থেকে গম আমদানির পরিকল্পনা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘গম আদমানি করতে আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
চুক্তি অনুযায়ী জুন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে চার লাখ টন গম রপ্তানির কথা রাশিয়ার। এখন পর্যন্ত দুই লাখ টন গম পাঠিয়েছে মস্কো। বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে, বাকি গম আর ঢাকাকে দিতে পারবে না রাশিয়া।
নাজমানারা জানালেন, রাশিয়া থেকে গম কেনায় বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহৎ দেশ। এক্ষেত্রে তুরস্ক ও মিসরের পরই ঢাকার অবস্থান।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমেও আমরা গম আমদানি করছি। জুন থেকে আমরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গমও সংগ্রহ শুরু করব।’
নাজমানারা জানান, জুনের মধ্যে ছয় লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্য বাংলাদেশের।
রয়টার্স বলছে, বাংলাদেশ প্রতিবছর ৬০ লাখ টন গম আমদানি করে থাকে, যা দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খাদ্যশস্য আমদানিকারক দেশে পরিণত করেছে।