নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি সেন্টার স্থাপন করবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন এই সংস্থা।
সেন্টার দুটির কার্যক্রম সফল হলে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শহরে আরও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
শনিবার এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল কর্মশালায় এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, দুটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনে কারিগরি সহায়তা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, এসব বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরিতে সহায়তা ও পরামর্শের পাশাপাশি অফিস স্পেস ব্যবহার এবং কারিগরি সহায়তা পাবেন নতুন উদ্যোক্তারা।
বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার পরিচালনায় একটি জাতীয় কৌশলপত্র তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানানো হয় কর্মশালায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এসএমই খাত আরও সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।
এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ বাস্তবায়নে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।
এ খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন সেন্টার অব এক্সেলেন্স হিসেবেও কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মশালায় এডিবির পরামর্শক ও আন্তর্জাতিক ইনকিউবেশন সেন্টার বিশেষজ্ঞ হুলিয়া তেতিক বলেন, বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনে জাতীয় কৌশলপত্র তৈরি হচ্ছে। কৌশলপত্র অনুযায়ী বিজনেস ইনকিউবেশন পরিচালিত হবে।
এডিবির পরামর্শক আরও বলেন, ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে শিল্প, অর্থ, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বিসিক, নাসিব, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিটাকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে।
এই কমিটি নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারকে কার্যকর করতে জাতীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
এ ছাড়া অর্থায়ন, কর ব্যবস্থা সহজীকরণ, নগদ সহায়তাসহ উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দেয়ার কাজও করবে ওই কমিটি।