পুঁজিবাজারে চাঙাভাব চলছেই। এবার দুই বছরের মধ্যে সূচক পৌঁছাল সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে। এর আগে ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সূচক পৌঁছেছিল পাঁচ হাজার ৮১১ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসসিতে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা।
১৬ কার্যদিবস ধরে পুঁজিবাজারে হাজার কোটির ওপরে লেনদেন হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ জানুয়ারি লেনদেন হয় ২ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা, যা ২০১০ সালের সর্বোচ্চ।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেনের বাড়ার পাশাপাশি শেয়ারের দামও কমা উচিত। শুধু বেড়ে চললে তা আতঙ্কের।
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআইয়ে উল্লম্ফনের ধারা অব্যাহত আছে। আগের দিনের তুলনায় ৪২৪ দশমিক ১৬ পয়েন্টে বেড়ে মঙ্গলবার দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৯ পয়েন্টে।
এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ৬৬ লাখ ২৩৩ টাকা।
ডিএসই সাবেক পরিচালক শাকিল রিজভী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে পুঁজিবাজারে সাধারণত দাম বাড়লেই বেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করতে আসেন। লেনদেন ও সূচক বাড়ার পাশাপাশি কমাও উচিত। তাহলেই বাজারের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। শুধু বাড়তে থাকলে তা আতঙ্কেরও।’
ডিএসইসর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস আগের দিনের তুলনায় ২৫ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩২২ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ এর সূচক ৭১ দশমিক ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৯৪ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৩৬২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৫টির, কমেছে ১০৬টির এবং দর পাল্টায়নি ৬১টির।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯১টির কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮২টির, কমেছে ৭০টির এবং পাল্টায়নি ৩৯টির দর।
গেল কয়েক কার্যদিবস লেনদেনের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকোফার্মা।
তবে মঙ্গলবার এই দুই কোম্পানিকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে লংকা বাংলা ফাইন্যান্স। এদিন প্রতিষ্ঠানটির ২ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ১২৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি টাকায়।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মা। কোম্পানিটির ৫৪ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি টাকায়। পরের অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, ১ কোটি ৪২ লাখের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি টাকায়।
শতকরা হিসাবে মঙ্গলবার দর বৃদ্ধির শীর্ষ স্থানে ছিল ডমিনেজ স্ট্রিল বিল্ডি সিস্টেমস লিমিটেড, এদিন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। তারপরের অবস্থানে ছিল রবি।
শতকরা হারে দরপতনের শীর্ষে ছিল এডিয়েন টেলিকম লিমিটেড, এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড। তারপর ছিল সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড।