রডের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার দাবিতে পাঁচটি সুপারিশ করেছেন রড ব্যবহারকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) নেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ জানান তারা। নেতারা বলেন, নির্মাণ খাত হচ্ছে বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম শিল্প।
বর্তমানে জিডিপিতে এই খাতের অবদান ১০ শতাংশের বেশি। প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
সম্প্রতি দেশের বাজারে এম এস রডের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উন্নয়নকাজের গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দাম না কমলে সরকারি–বেসরকারি নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়বে। এই প্রেক্ষাপটে রডের দাম কমাতে পাঁচ দফা সুপারিশও করেছেন বিএসিআই নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ব্যবধানে এমএস রডের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বিএসিআইয়ের নেতারা বলছেন, হঠাৎ যৌক্তিক কারণ ছাড়াই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রডের দাম অস্বাভাবিক বাড়ানো হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এস এম খোরশেদ আলম বলেন, বর্তমানে দেশে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রড প্রস্তুত করছে এবং দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে। চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। নতুন করে সরকারিভাবে কোনো প্রকার শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে রডের কাঁচামালের যে দাম বেড়েছে, তার তুলনায় দেশীয় বাজারে বেড়েছে অনেক গুণ।
রডের অস্বাভাবিক এই মূল্য বৃদ্ধি অযৌক্তিক দাবি করে বিএসিআইয়ের সভাপতি আরও বলেন, প্রতিদিনই স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ানো হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের উন্নয়নকাজ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রডের দাম কমাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে যেসব দাবি করা হয়েছে, সেগুলো হলো: সরকারি ক্রয়নীতিমালা-পিপিআর অনুযায়ী দাম সমন্বয়ের ব্যবস্থা চালু, সরকারি কাজের মূল্য সমন্বয় করা, সব ধরনের শুল্ক-কর কমানো, সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে দ্রুত শুল্কবিহীন রড আমদানির উদ্যোগ নেয়া ও বর্তমান বাজারদরের ভিত্তিতে গণপূর্তের কাজের মূল্য হালনাগাদ করা।