সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাভারে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যাদের পক্ষে ব্যবসা চালিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তারা কিছু সহজ শর্ত মেনে ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ পাবে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে জানায়, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে খেলাপি প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতির দুই শতাংশ এককালীন নগদ জমা বা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে এক্সিট সুবিধা নিতে পারবে চামড়া শিল্পগুলো।
গত ডিসেম্বরে যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি পাঁচ কোটি টাকা বা এর নিচে ছিল সেসব প্রতিষ্ঠান দায়-দেয়া পরিশোধের জন্য তিন বছর এবং যেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ স্থিতি পাঁচ কোটি টাকার বেশি সেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ বছরে দায়-দেনা পরিশোধের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়, শিল্পনগরীর যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালু রাখতে চায় তাদের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করতে পারবে ব্যাংক। এক্ষেত্রেও ন্যূনতম ডাউনপেমেন্ট হবে দুই শতাংশ।
এই প্রক্রিয়ার এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ১০ বছরে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করা যাবে।
এক্সিট ও পুনঃতফসিল উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাংক খাতের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে স্থগিত সুদ, অনারোপিত সুদ ও দণ্ড সুদ মওকুফের বিষয়ে ব্যাংকের পর্ষদ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়।
তবে কোনো অবস্থাতেই আসল ঋণ মওকুফ করতে পারবে না ব্যাংক।
পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করা ঋণের মওকুফ পরবর্তী অংশের ওপর ৯ শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংক।
সাভারের চামড়া শিল্পের যেসব খেলাপি ঋণগ্রহীতা বিশেষ ছাড়ে ঋণ পরিশোধ করতে আগ্রহী তাদেরকে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে অর্থায়নাকারী ব্যাংকে আবেদন করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক ঋণ নিয়মিত পরিশোধ হয়নি। ফলে তা খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।