গ্রাহক ভোগান্তি কমিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সহজ করতে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সিসিআইঅ্যান্ডই।
দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুরু হয়েছে ই-পেমেন্ট কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী বলেন, ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ইজ অফ ডুইং বিজনেস সূচকে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো।
এ সময় সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সচিব ড. জাফর উদ্দিন বলেন, এই পেমেন্ট টিম কমার্সের একটি প্রয়াস। এর মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাজ সহজ হবে।
ই-পেমেন্ট চালুর ফলে গ্রাহকরা ব্যাংকে গিয়ে ম্যানুয়্যাল পেমেন্টের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে। এতে তাদের সময় ও যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয় হবে। এখন থেকে ঘরে বসেই পেমেন্ট করা যাবে।
সিসিআইঅ্যান্ডই কর্মকর্তারা ই-চালানের তথ্য পাবেন। ফলে আমদানি ও রপ্তানিবিষয়ক সেবাগুলো আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে। এর মধ্য দিয়ে ইজ অফ ডুইং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে আমদানি নিবন্ধন সনদ, রপ্তানি নিবন্ধন সনদ, শিল্প আমদানি নিবন্ধন সনদ, ইন্ডেন্টিং নিবন্ধন সনদসহ সেবাগুলো অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউল (ওএলএম) সফটওয়্যারের মাধ্যমে দেয়া হয়।
এসব সেবা পেতে নির্ধারিত ফি টিআর চালানের মাধ্যমে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ম্যানুয়ালি জমা করতে হতো গ্রাহকদের। সেই চালানের স্ক্যান কপি আপলোড করে সিসিআইঅ্যান্ডই সেবার জন্য আবেদন করা লাগত।
টিআর চালান জমা হওয়ার পরদিন দুপুর ১২টার পরে সিজিএ অফিসের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে যাচাইয়ের নিয়ম ছিল। সেবাগ্রহীতাকে চালানে অর্থ জমা দেয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত সেবার জন্য এক দিন অপেক্ষা করতে হতো।
এর অন্যতম কারণ ছিল সনাতনী ধাঁচের পেমেন্ট ব্যবস্থা। এ ভোগান্তি নিরসনে চালু করা হলো ই পেমেন্ট ব্যবস্থা।
ই পেমেন্ট ব্যবস্থায় পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে গ্রাহক ক্যাশ অন কাউন্টার (ব্যাংক ব্রাঞ্চ), অনলাইন অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (বিকাশ, রকেট, নগদ, ইউক্যাশ ইত্যাদি), ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডসহ (ভিসা, মাস্টার, এমেক্স, নেক্সাস ইত্যাদি) অন্য পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে অনলাইনে পেমেন্ট দেয়া যাবে।