মোবাইল ফোনে কুইক রেস্পন্স কোড বা কিউআর কোডভিত্তিক আর্থিক লেনদেনের জন্য ‘বাংলা কিউআর’ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে যেসব ব্যাংক, মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর ইতোমধ্যে নিজেদের মতো করে কিউআর কোড চালু করেছে সেগুলোকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলা কিউআর-এ প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বুধবার এ সংক্রান্ত এক নীতিমালা জারি করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ।
বাংলা কিউআর ব্যবহার করে এক জন গ্রাহক প্রতিবার সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবে।
আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাংক বা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভেদে তাদের ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব নম্বর একটি কোডে রূপান্তর করে বিক্রয়কেন্দ্রে প্রদর্শন করছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার ফলে এখন থেকে সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলা কিউআর কোডই ব্যবহার করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, দেশে আন্তঃলেনদেন জোরদার করতে বাংলা কিউআর চালু করা হয়েছে। এ ধরনের কিউআর কোড স্ক্যান করে সব ধরনের নেটওয়ার্ক থেকে বিক্রয়মূল্য পরিশোধ করা যাবে।
এ ধরনের লেনদেনের চার্জ বা ফি বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করে দেবে বলে জানানো হয় সার্কুলারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ফি ঠিক করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলা কিউআরকে জনপ্রিয় করতে একটি লোগো তৈরি করে এ সংক্রান্ত নীতিমালায় সংযুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই লোগোসহ কিউআর কোড বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কিউআর কোডের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতেও জাতীয়ভাবে কিউআর কোড চালু আছে। সেখানে এ ধরণের কিউআর কোড ‘ভারত কিউআর’ নামে পরিচিত।
ভিসা, মাস্টার কার্ড ও পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএলকমার্জ ইতোমধ্যে দেশে বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেন শুরু করেছে।