এক দশকে সর্বোচ্চ লেনদেনের পরদিন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন কমল এক হাজার কোটি টাকা।
দিনভর ওঠানামার মধ্যে শেষ বেলায় ব্যাংকের শেয়ার, রবি ও বেক্সিমকো ফার্মায় ভর করে সূচক বেড়েছে।
লেনদেনের শেষের দেড় ঘণ্টায় বড় মূলধনী কোম্পানির দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে সূচকে ৩০ পয়েন্ট যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয় ডিএসইতে। আগের দিনের তুলনায় ৯৬৯ কোটি টাকা কমে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৫৭৭ কোটি ৪৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৬৪০ পয়েন্টে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) শুরু থেকে সূচকের পতন থাকলেও দিন শেষ প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৮ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে।
গত এক মাস ধরে টানা ঊর্ধ্বমুখি পুঁজিবাজার। ২০১০ সালে ধসের পর তৃতীয়বারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে চলতি সপ্তাহেই। এর মধ্যে মঙ্গলবার লেনদেন ছাড়ায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গেলেও পরে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, গত কয়েক মাস ধরে শেয়ার ধরে রেখে যারা লাভ করেছেন, তারা শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন বা আইটেম পাল্টেছেন। এ জন্যই বিক্রির চাপ স্বাভাবিক।
আবার বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ার সময় প্যানিক সেল হয়নি, এটাও প্রমাণ করে আগের দিনের তুলনায় এক হাজার কোটি টাকা কম লেনদেন। এটা পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
দিন শেষে লেনদেন হওয়া ৩৬১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ১৭১টির এবং পাল্টায়নি ৭০টির দর।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে। মোট লেনদেন হয়েছে ১০৫ কোটি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫৫ কোটি টাকা।
এই বাজারে তালিকাভুক্ত ২৬৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ১৩৪টির এবং পাল্টায়নি ৪০টির দর।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দাম অনেক বেড়েছে। এখন কমা উচিত। লাভ থাকার পরও শেয়ার বিক্রি না করে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ধরে রাখছেন, যা দীর্ঘমেয়াদী পুঁজিবাজারের জন্য ভালো।’
একদিনের ব্যবধানে আবারও লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির দুই কোটি ৩৯ লাখ শেয়ার ১৫৩ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মা। এদিন কোম্পানিটির ৫২ লাখের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি টাকায়।
সম্প্রতি ভারত থেকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়ায় হঠাৎ করে দাম কমতে থাকে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার দর।
সরকার যে তিন কোটি টিকা কিনতে যাচ্ছে, তার মধ্যে এই কোম্পানি প্রতিটির জন্য এক ডলার করে কমিশন পাবে।
এরপরে ছিল যথাক্রমে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও রবি।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল এএফসি এগ্রো লিমিটেড, এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রবি, দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এছাড়া ফুয়াং সিরাামিক, জিবিবিপাওয়ার ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে।