আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম চড়া হলেও সরকারি হিসাব বলছে মূল্যস্ফীতির চাপ এখন কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মঙ্গলবার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, বিদায়ী বছরে নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ কমেছে।
মূলত খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমতে থাকায় সামগ্রিকভাবে এর চাপ কম অনুভূত হচ্ছে বলে বিবিএস বলেছে।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, পয়েন্ট টু ভিত্তিতে ডিসেম্বর মাসে গড় মূল্যস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, নভেম্বরে যা ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এর আগের মাসে অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির নিম্মমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল পৌনে ৬ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বিবিএস-এর তথ্য ঠিক হলে নিঃসন্দেহে তা স্বস্তির খবর। গত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতির যে ঊর্ধ্বমুখী ধারা ছিল, তাতে জনজীবনে চাপ তৈরি করে।
তাদের মতে, মূল্যস্ফীতি বেশি হলে গরিব ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা বেশি কষ্ট পান। কারণ, তাদের মোট আয়ের বড় অংশ খরচ হয় চাল কেনায়। ফলে আয় না বাড়লে দুর্ভোগে পড়েন তারা।
তবে চালের দাম বাড়লেও আলু, পেঁয়াজসহ শীতের সবজির দাম এখন সস্তা। এ কারণে মূল্যস্ফীতি বর্তমানে নিম্মমুখী বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা।
বিবিএস বলছে, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, মাছ, শাক-সবজি ও মশলার দাম ডিসেম্বের কমেছে, যা মূল্যস্ফীতি কমাতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।