বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে নিলামের (বিডিং) অনুমোদন পেয়েছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড।
গত ৩১ ডিসেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ২২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। যেই টাকা বিনিয়োগ হবে তাদেরই সাবসিডিয়ারি কোম্পানি কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেডে। আর আংশিক ব্যয় হবে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণ-প্রস্তাবের খরচ বাবদ।
সিলেট ভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি বারাকা পাওয়ার লিমিটেড প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বাকারা পাওয়ারেরই সহযোগী প্রতিষ্ঠান বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড। কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে গত বছরের ১৯ নভেম্বর শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিতে বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আয়োজন করা হয়।
বারাকা গ্রুপের কর্ণফুলি পাওয়ার লিমিটেড এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড ফার্নেস তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২০১৮ সালে।
৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য ২৩ টাকা। শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় চার টাকা ৩৭ পয়সা। আর এককভাবে ইপিএস এক টাকা ৮৪ পয়সা।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ২০০৭ সালে ৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়।
কোম্পানি সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের সহযোগী দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে গেলে গ্রুপের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩১৬ মেগাওয়াট।‘
বাকারা পাওয়ার লিমিটেড যখন তালিকাভুক্ত হয় তখন পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের উৎপাদন শুরু হয়নি। এখন পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের সাবসিডিয়ারিতে থাকা দুটি কোম্পানিতে ৫১ শতাংশ শেয়ারে মালিকানা থাকবে, যা শেয়ার ইক্যুইটি হিসাবে বিনিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিলামের সম্মতিপত্র ইস্যুর তারিখ থেকে কোম্পানি আগামী ৫ বছরের জন্য বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। একই সঙ্গে তার সাবসিডিয়ারিতে থাকা (কর্ণফুলি পাওয়ার লিমিটেড এবং বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড) কোম্পানির দুটির ন্যূনতম ৫১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।