লেনদেন শুরুর পর চলতে থাকে সূচকের উত্থান-পতন। এই উত্থান-পতনেও ঊর্ধ্বমুখী ছিল ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। মঙ্গলবার ঘণ্টা না পেরোতেই ১০০ পয়েন্টের ঘর অতিক্রম করল।
নতুন বছরের প্রথম লেনদেন হয় চলতি সপ্তাহের রোববার। সেদিনই ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
সোমবার পৌঁছে যায় দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে। তৃতীয় দিনের লেনদেনেও ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা ধরে রেখেছে পুঁজিবাজার।
এক ঘণ্টায় ডিএসইএক্স ১১৪ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৬৬ পয়েন্টে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১২ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১০ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে।
এ সময় লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৮ কোটি টাকা।
টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রবির। ছয় কোটির বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোটি টাকায়। তারপরের অবস্থান বেক্সিমকো ফার্মার; লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি টাকার। বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার।
এ সময় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে সবকটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে।
ব্যাংকিং খাতের লেনদেন এগিয়ে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক। ১৭ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৭৬ কোটি টাকার চার কোটির বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সিটি ব্যাংকের ৩৫ কোটি টাকার এক কোটির বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যমুনা ব্যাংকের ২৫ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি টাকায়।
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ৯ টাকা দরে দুই কোটির বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি টাকায়।
এছাড়া ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে এখন পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং পূবালী ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে বিনিয়োগ করা উচিত।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আছে বলেই বাজার ভালো আছে। এখন এই আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) এক ঘণ্টায় সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৫২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি টাকার।