জনস্বার্থ সংস্থার আওতায় পড়ে এমন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে হলে বা ঋণ নবায়নের সময় অবশ্যই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস কর্তৃক নিরীক্ষিত এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রণীত হালনাগাদ বিধিবদ্ধ নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা নিতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
জমা নেয়া প্রতিবেদন অবশ্যই ঋণের নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে।
সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
সার্কুলারে জনস্বার্থ সংস্থার অনুকূলে ঋণ অনুমোদন বা নবায়নের ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনও জমা নেয়া এবং ঋণের নথিতে সংরক্ষণের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ঋণ অনুমোদন বা নবায়নের ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন জমা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলে তাও যথাযথভাবে ঋণের নথিতে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিবেদন আইন ২০১৫ এ সজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থার ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বছরের মার্চে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) জনস্বার্থ সংস্থার সজ্ঞা নির্ধারণ করে দেয়। এতে বলা হয়, পাঁচ কোটি টাকার বার্ষিক রাজস্ব, তিন কোটি টাকার মোট সম্পদ এবং শেয়ারহোল্ডারটের ইক্যুয়িটি ছাড়া এক কোটি টাকার দায় থাকলে সেটা জনস্বার্থ সংস্থা বলে বিবেচিত হবে।
গত ২১ ডিসেম্বর থেকে জনস্বার্থ সংস্থাগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদনে নিরীক্ষকদের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করে এফআরসি।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এফআরসি জানায়, নিরীক্ষা প্রতিবেদন পুনরীক্ষণে দেখা গেছে, ভিন্ন ভিন্ন নিরীক্ষা ফার্ম নিরীক্ষা প্রতিবেদন ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে স্বাক্ষর করছে। এতে অভিন্ন নিরীক্ষা চর্চা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরীক্ষা কাজে যত্নশীলতা নিশ্চিত করার জন্য নিরীক্ষকের নিজ নামে স্বাক্ষর করার দরকার আছে।
এছাড়া নিরীক্ষা প্রতিবেদন ব্যবহারকারীদের কাজে বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্যও প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের নিজ নামে স্বাক্ষর করার দরকার রয়েছে বলেও মনে করে এফআরসি।
এতদিন নিরীক্ষা প্রতিবেদনে স্বাক্ষরের তিনটি বিকল্প পদ্ধতি অনুসরন করা হতো। বিকল্পগুলো হলো, নিজ নামে স্বাক্ষর করা, ফার্মের নামে স্বাক্ষর করা বা উভয় নামে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করা।