বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাতুনগঞ্জে ঢুকল পাঁচ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:১০

শনিবার আমদানি শুরু হলেও খুব দ্রুত বাজারে চলে এসেছে পেঁয়াজ। রোববার সকালে খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে ঢোকে পাঁচটি ট্রাক। এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

করোনাভাইরাসের কারণে সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি।

বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আসা এসব পেঁয়াজ ইতিমধ্যে দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আসতে শুরু করেছে। রোববার পাঁচ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে ঢুকেছে।

খাতুনগঞ্জ কাঁচাপণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, দিনাজপুরের হিলি, সাতক্ষীরার ভোমরাসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।

শনিবার আমদানি শুরু হলেও খুব দ্রুত বাজারে চলে এসেছে পেঁয়াজ। রোববার সকালে খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে ঢোকে পাঁচটি ট্রাক। এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার ফলে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দরপতন ঘটেছে। প্রায় সব ধরনের পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।

বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত থাকায় আমদানিকারকরা লোকসানের ভয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছেড়ে দেয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা।

খাতুনগঞ্জের তৈয়্যবিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা নিউজবাংলাকে বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢোকার খবরে মিয়ানমার, তুরস্ক, মিসর, হল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পেঁয়াজের দরপতন ঘটেছে। পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজেরও দাম কমেছে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ফলে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম, এক পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকাতেও বিক্রি হয়।

পরে সরকার পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক হ্রাস করার পর ব্যবসায়ীরা অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে।

এই পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে সরকার।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল নিউজবাংলাকে বলেন, গত ছয় মাসে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিসর, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, ইরান ও রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে দুই লাখ ৯ হাজার ৩৪ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আরপি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তার বিপরীতে এই পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ফারাক মাত্র দুই লাখ টনের। বছরে দেশে পেঁয়াজ হয় ২৩ লাখ টনের ওপরে।

আর চাহিদা রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ টনের। তারপরও শুধু নষ্ট হওয়ার কারণে বছরে আট থেকে ১০ লাখ টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কারণ দেশে উৎপাদিত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়।

পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য যে আধুনিক তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা দরকার, তা সরকারি-বেসরকারি কোনো পর্যায়ে নেই।

এ বিভাগের আরো খবর