করোনা মহামারির বছরে আয়কর রিটার্ন জমার সংখ্যা কমে গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, এবার রিটার্ন জমা পড়েছে ২০ লাখ ৪১ হাজারটি। এ থেকে কর পাওয়া গেছে তিন হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
গত করবর্ষে রিটার্ন জমা পড়েছিল ২২ লাখ। জমা পড়েছিল তিন হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।
এ হিসাবে গতবারের চেয়ে দুই লাখ রিটার্ন কম জমা পড়েছে। আর কর কম জমা পড়েছে ৮৫ কোটি টাকা।
অবশ্য ব্যক্তিশ্রেণির এই আয়কর সামগ্রিক আয়করকে প্রতিফলিত করে না। এই খাত থেকে প্রাতিষ্ঠানিক খাতেরসহ আয়কর জমা পড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
গত ৩১ ডিসেম্বর ছিল ব্যক্তিশ্রেণি আয়কর রিটার্ন জমার শেষ সময়।
এর পর মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে সাময়িক হিসাব তৈরি করেছে এনবিআর। রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, সময় বাড়ানোর (পিটিশন) আবেদন করেছেন প্রায় এক লাখ ৫৪ হাজার জন। ফলে চূড়ান্ত হিসাবে রিটার্নের সংখ্যা আরও বাড়বে।
ব্যক্তিশ্রেণি করদাতার বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। কিন্তু করোনার কারণে অনেকেই সময়মত রিটার্ন জমা দিতে পারেননি।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, করদাতাদের সুবিধার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে এনবিআর।
রিটার্নে ব্যক্তির এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়। নিট আয়ের ওপর প্রযোজ্য হারে কর আদায় করে সরকার।
আয় থাকুক, আর না থাকুক, সামর্থ্যবান সবার রিটার্ন জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যথাসময়ে জমা না দিলে জরিমানাও গুণতে হয়।
এনবিআর বলেছে, যারা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন, যৌক্তিক কারণ দেখালে সবার রিটার্ন গ্রহণ করা হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ রিটার্ন দাখিল না করতে পারলে সময় চেয়ে আবেদনের সুযোগ আছে আইনে।
কর্মকর্তা ( উপ-কর কমিশনার) সবোর্চ্চ তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় দিতে পারেন। তবে কেন সময় বাড়াতে হবে, এর জন্য উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে আবেদনকারীদের।
বর্তমানে দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৫৩ লাখ। এর মধ্যে প্রতি বছর রিটার্ন জমা পড়ে মাত্র ২০ থেকে ২২ লাখ। অর্থাৎ মোট টিআইএনধারীর ৬০ ভাগই রিটার্ন জমা দেন না।