বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিজার্ভের অর্ধেক এক বছরেই পাঠাল প্রবাসীরা

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:০৩

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। গত এক বছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ডলার।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান যে রিজার্ভ তার অর্ধেক এক বছরেই বিদেশ থেকে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

দেশের রিজার্ভ গত ৩০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। এতে বড় অবদান প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেরই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২ হাজার ১৭৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা রিজার্ভের অর্ধেকের বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার। সে তুলনায় ২০২০ সালে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ৩৪১ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।

করোনাকালে বিশ্ব যখন স্থবির প্রায় তখন প্রবাসীদের জীবনেও নেমেছে দুর্গতি। বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরি হারিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ছুটিতে এসে ফিরতে পারছে না কর্মস্থলে। এই অবস্থায় রেমিট্যান্স তলানিতে নামবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটেছে উল্টো। সবাইকে অবাক করে করোনাকালে আরও বেশি হারে এসেছে প্রবাসী আয়। এর সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত অর্থনীতিবিদরাও।

প্রবাসী আয়ে যে উল্লম্ফন হবে তা ধারণা বিশ্বব্যাংক তো করতে পারেইনি, উল্টো নানা নেতিবাচক পূর্বাভাস দিয়েছে।

গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০২০ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স কমবে ২৫ শতাংশ। পরে অবশ্য পূর্বাভাস পরিবর্তন করে তারা।

আন্তর্জাতিক এই সংস্থা অক্টোবরে জানায়, ২০২০ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়াতে পারে। বিশ্বব্যাংক এই হিসাবটি করে পঞ্জিকাবর্ষ ধরে। বাংলাদেশ ব্যাংক হিসাব করে অর্থবছর ধরে।

সেই হিসাবে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৯৪০ কোটি ডলার।

সবশেষ ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৫ কোটি ডলার। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়ার কারণেই করোনা মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স বাড়ছে। তা ছাড়া প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে এখন অনেক দ্রুত রেমিট্যান্সের অর্থ পেয়ে যাচ্ছেন তাদের স্বজনরা। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশে রেমিট্যান্স আসা বাড়ছে।

২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রেমিট্যান্সে নগদ সহায়তা দেয়ার জন্য বাজেটে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে সরকার।

এর আগের অর্থবছরগুলোতে রেমিট্যান্সে কিছুটা ঋণাত্মক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। নগদ সহায়তা চালুর পর থেকে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করে।

আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের বাংলাদেশের প্রধান নূর এলাহী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নগদ সহায়তার সিদ্ধান্তটা করোনার মধ্যে রেমিট্যান্স বাড়াতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এ ধরনের নীতি এখন অন্যান্য দেশেও অনুসরণের আলোচনা চলছে।’

রেমিট্যান্সে ভর করে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েই চলছে। করোনা মহামারির মধ্যেও রিজার্ভে নতুন করে যোগ হয়েছে ১ হাজার কোটি বেশি ডলার।

এ বিভাগের আরো খবর