বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুঁজিবাজারে বছরের প্রথম দিন উল্লম্ফন

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:৩৫

বছরের প্রথম কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে ২১৬ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৯২৫ কোটি টাকার বেশি। এটি ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। দিন শেষে বেড়েছে ২৫৩টি কোম্পানির শেয়ার দর, যার মধ্যে ৩০টিরও বেশির দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণ।

বছরের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে লেনদেন প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এক দিনেই সূচক বেড়েছে চার শতাংশ।

টানা এক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার নতুন বছরে নতুন আশা নিয়ে শুরু করেছে। রোববার সপ্তাহ ও ২০২১ সালের প্রথম কার্যদিবসে ২৫৩ কোম্পানি ও ফান্ডের দাম বৃদ্ধি, ২১৬ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধি দেখল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৯২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

গত ছয় মাসের মধ্যে এত বেশি লেনদেন কখনও হয়নি পুঁজিবাজারে। এর আগে গত ২৮ জুন লেনদেন ছিল দুই হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক পাঁচ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে এসে শেষ করেছিল ২০২০।

৩১ ডিসেম্বরের ব্যাংক হলিডে আর ১ ও ২ জানুয়ারি সাপ্তাহিক ছুটির কারণে লেনদেন ছিল বন্ধ। ৩ জানুয়ারি বছরের প্রথম লেনদেন হয় পুঁজিবাজারে।

সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিট পর প্রথম আপডেটেই সূচক বাড়ে ৩৮ পয়েন্ট। এরপর থেকে সময় যত গড়িয়েছে, সূচক তত বেড়েছে।

পৌনে দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়ায় এক হাজার কোটি টাকা। শেষ দুই ঘণ্টায় সে তুলনায় বিনিয়োগকারীরা ছিলেন রক্ষণশীল। আটশ কোটির মতো শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে এই সময়ে।

দিন শেষে ২৫৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার পাশাপাশি কমে ৫৮টির দর। বদলায়নি ৫০টির।

৩০টির বেশি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব তত।

সূচকের উল্লম্ফন হলেও বাজার মূলধনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়েনি সেভাবে।

৩০টির মধ্যে কমেছে নয়টির দাম। বদলায়নি পাঁচটির দর। কেবল ব্র্যাক ব্যাংকের দুই টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকের দাম বেড়েছে এক টাকা ৪৫ পয়সা। বাকিগুলোর মধ্যে রূপালী ওএনসিসি ব্যাংকের ব্যাংকের ৬০ পয়সা এবং এবি, এনবিএল, প্রিমিয়ার, পূবালী ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দাম বেড়েছে ৫০ পয়সা। বাকিগুলার দাম বৃদ্ধি হয়েছে খুব কম।

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যাংকের শেয়ার ছাড়াই দুইশ পয়েন্টের বেশি সূচক বৃদ্ধি বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রমাণ হিসেবে দেখছেন।

অতি সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিদ্ধান্ত নেয়, সেকেন্ডারি মার্কেটে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে আইপিও আবেদন করলেই আনুপাতিকহারে বন্টন হবে শেয়ার।

এটিও লেনদেন বাড়ার একটি কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। শুধু আইপিওর জন্য ব্যবহৃত বিও হিসাবগুলো সচল করতে নতুন বিনিয়োগ করছেন বিনিয়োগকারীরা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স আ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজারের যে ফান্ডামেন্টাল তাতে দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেন স্বাভাবিক বিষয়। অনেকে বলেন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে। কিন্তু আমি বলি পুঁজিবাজার কখনও স্থিতিশীল হয় না, বরং গতিশীল পুঁজিবাজার প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা অর্জন বাড়াতে হবে। আস্থা বাড়লে তখন পুঁজিবাজারের জন্য রেকর্ড হিসাব করলে চলবে না। পুঁজিবাজারে সব সময় কিছু সুবিধাভোগী থাকবে। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন আছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ বলেন, ‘বিনিয়োগ করে মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে, এতে শুধু খুশি হলেই চলবে না। কারণ পুঁজিবাজার ভালো হলেই কারসাজিকারীরা তাদের নেতিবাচক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমান কমিশন এ ব্যাপারে সচেতন আছে। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আরো সজাগ থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সবাই শেয়ার পাবে এই উদ্যোগের কারণে বিনিয়োগকারীরা লেনদেন না হওয়া বিও হিসাবগুলোকে সচল করতে নতুন বিনিয়োগ করছে। বিনিয়োগকারীদের ধারণা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার পেলে তাতে লাভ বেশি পাওয়া যায়।’

পরিসংখ্যানে বছরের প্রথম দিনের লেনদেন

রোববার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৮ পয়েন্টে। এর আগের ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এই সূচক ছিল পাঁচ হাজার ছয়শ পয়েন্টে।

শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ৫৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৯৯ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস ৩০ সূচক ১১৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭৮ পয়েন্টে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৭২ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৬৫ দশমিক ১৮ পয়েন্টে।

শতকরা হিসাবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, আইএলএফএসএল, ইসলামি ফিনান্স, বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি, বেক্সিমকো ফার্মা, জিলবাংলা সুগার, আইডিএলসি, সোনারবাংলা ইন্সুরেন্স, সেন্ট্রাল ফার্মা।

টাকার অংশে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানি হলো বেক্সিমকো ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, বেক্সিমকো লিমিটেড, লাফার্স সুরমা সিমেন্ট কোম্পানি, লংকাবাংলা ফিনান্স, স্কয়ার ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি লিমিটেড, সাইনপুকুর সিরামিক ও ব্রিটিশ আমেরিকান কোম্পানি।

এ বিভাগের আরো খবর