বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষকের স্বার্থে শুল্ক বসছে পেঁয়াজ আমদানিতে

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:২৫

‘আমার যেটা সাজেশন উনাদের প্রতি এবং আপনাদেরও জানাতে চাই, ভারতের পেঁয়াজ আমরা নেব কি নেব না, কী পরিমাণ ডিউটি (শুল্ক) আরোপ করব, যেন আমাদের উৎপাদকদের কথা বিবেচনা করে এবং ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে যেন স্যাটেল ডাউন করেন।’

পেঁয়াজের মৌসুমে আমদানির কারণে কৃষকরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে, সে দিকটা বিবেচনায় রেখে শুল্প আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে পেঁয়াজ সংকটে পড়ে দেশ। তখন অন্য দেশ থেকে আমদানি সহজ করতে পণ্যটির ওপর ধার্য শুল্ক মওকুফ করে সরকার। সেটি আবারও আরোপ করা হবে।

মন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে রোববার বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে শুল্ক আরোপের পরামর্শ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘ভারত তার স্বার্থের কথা ভেবে কখনো কখনো খুলে দিচ্ছে, কখনো বন্ধ করে দিচ্ছে। এখন আবার তারা খুলে দিয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি তারা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমরা আমাদের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করব।’

দাম ভালো হওয়া এবার পেঁয়াজের চাষ বেড়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

কয়েক মাস আগে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও এখন আবার তা উন্মুক্ত করেছে। তবে যে মৌসুমে পেঁয়াজ আসছে, তখন বাংলাদেশেও কৃষকরাও পেঁয়াজ বাজারে আনার অপেক্ষায়। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় পেঁয়াজ আসলে তারা দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছে।

শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ভোক্তারা যেন সংকটে না পড়ে, সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদেরটাও দেখব, কৃষকদের স্বার্থ দেখব। তিন বছরের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। সে ক্ষেত্রে গ্রোয়ারদের (উৎপাদনকারী) দাম পেতে হবে।’

ভারতের পেঁয়াজ বাজারে এলেও বাংলাদেশের পেঁয়াজের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানালেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ভারতের পেয়াঁজ যদি ৩৯ টাকা করে বাজারে আসে, তাহলে ঢাকার বাজারে পাইকারি দাম পড়বে ৪৫ টাকার মতো। আর খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।’

দেশি পেঁয়াজের দাম এর মধ্যে আছে বলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে না বলে দাবি মন্ত্রীর।

কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমার যেটা সাজেশন উনাদের প্রতি এবং আপনাদেরও জানাতে চাই, ভারতের পেঁয়াজ আমরা নেব কি নেব না, কী পরিমাণ ডিউটি (শুল্ক) আরোপ করব, যেন আমাদের উৎপাদকদের কথা বিবেচনা করে এবং ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে যেন স্যাটেল ডাউন করেন।’

পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: নিউজবাংলা

মন্ত্রী বলেন, ‘মার্চের শেষের দিকে দেশে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। সে সময় আমরা দেখব, আমদানির প্রয়োজন পড়বে কি না।’

ভারত থেকে আমদানির কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এর কারণ হলো কম দামে পেঁয়াজ পাওয়া যায়।’

পেঁয়াজের সংকট নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে গেছে। তবে এই সুযোগ নিয়ে যাতে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকার সতর্ক অবস্থানে আছে।

চালের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে মন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে মজুত কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাই আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, ‘বাজারে দামসাশ্রয়ী মূল্যে রাখার জন্য ডিউটি (শুল্ক) ৬২ থেকে ২৫ শতাংশ করে দেয়া হয়েছে। সরকার প্রো অ্যাক্টিভ অবস্থান নিয়েছেন। সব দিক থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, সমস্যা যেন দূর করা যায়।’

অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ না পায় সে জন্য মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে আছে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর