বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রোকার হাউজগুলোর থাকবে আলাদা অ্যাপ্লিকেশন

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:৩৫

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম, নাকি ব্যবহার উপযোগী নয়- এমন প্রশ্নে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কিছু সমস্যা আছে। আর বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিগগিরই আরও আধুনিক হবে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় ২০১৬ সালে। চার বছরে এই অ্যাপে যুক্ত হয়েছেন মাত্র ৪৯ হাজার ১৫১ জন। যেখানে পুঁজিবাজারে বর্তমানে বিও (পুঁজিবাজারের লেনদেনের প্রাথমিক নম্বর) হিসাবের সংখ্যা ২৫ লাখের বেশি।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম, নাকি ব্যবহার উপযোগী নয়, এমন প্রশ্নে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কিছু সমস্যা আছে। আর বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিগগিরই আরও আধুনিক হবে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ।

তারা বলছেন, উন্নত বিশ্বে ব্রোকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ট্রেডিং ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করে। থাকে নিজেদের মোবাইল অ্যাপ। আমরাও সেদিকেই যাচ্ছি।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী শাহীদ বলেন, ‘মোবাইল অ্যাপে নিজের পোর্টফোলিও নিজে ম্যানেজ করা যায়, এটা একটা সুবিধা। সমস্যার মধ্যে হচ্ছে কোনো একটি কোম্পানির একটি নির্দিষ্ট দামে শেয়ার কেনার আদেশ দেয়ার পর সেই দাম পরিবর্তন করা যায় না। বাতিল করে আবার নতুন অর্ডার দিতে হয়।’

সিটি ব্যাংক ক্যাপিটালের পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট অফিসার অনন্যা মেহজাবিন নিউজবাংলাকে জানান, বিনিয়োগকারীরা গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডিএসই মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে নির্ধারিত হাউজ থেকে পিন কোড সেট করে লেনদেন করতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘অনেক বিনিয়োগকারী হাউজে এসে ট্রেড করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। করোনার কারণেও অনেকে হাউজে আসতে আগ্রহী হচ্ছেন না। মূলত তারাই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিজের লেনদেন নিজেই করে থাকেন।’

২০২১ সালের জুনের পর পুঁজিবাজারের লেনদেনের মোবাইল অ্যাপে আধুনিকতার ছাপ লাগবে বলে জানা গেছে।

আগামী জুন কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএসইর সাবেক পরিচালক শাকিল রিজভী নিউজবাংলাকে বলেন, আন্তর্জাতিক মানের স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেসে (এপিআই) যুক্ত হচ্ছে দেশের ব্রোকার হাউজগুলো। ছয় মাসের জন্য এটি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।

ব্রোকার হাউজগুলো যখন সরাসরি এপিআইয়ে যুক্ত হবে তখন তারা বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে পারবে। নিজেদের অর্ডারও ম্যানেজ করতে পারবে। বিনিয়োগকারীদের কী কী সেবা দিতে চায় তাও নিজেরাই তৈরি করবে।

এপিআই হচ্ছে অনেকগুলো ফাংশনের সমষ্টি, যার মাধ্যমে কম্পিউটার অথবা অ্যাপ্লিকেশন অন্য অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে তথ্য বিনিময় করতে পারে।

ইতিমধ্যে ২৫টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাকের (নিউইর্য়ক স্টক এক্সচেঞ্জ) ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই মাধ্যমে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) করতে আবেদন করেছে। আর আটটি ব্রোকার হাউজ ডিএসইর সঙ্গে এপিআই পরীক্ষামূলক চালু করার চুক্তি করেছে।

২০১৬ সালের ৯ মার্চ থেকে চালু হয় ডিএসই মোবাইল অ্যাপস। এতে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুটি সংস্করণের মধ্যে রয়েছে নন-ট্রেডিং সংস্করণ ও ডিএসই-মোবাইল ট্রেডার। অ্যাপটি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারছেন বিনিয়োগকারীরা।

এপিআই চুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার নিউজবাংলাকে জানান, বর্তমানে ট্রেডিং সিস্টেম দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (ওএমএস) অপরটি ব্যাকএন্ড বা ম্যাচিং ইঞ্জিন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার ব্রোকাররা তৈরি করে থাকেন। আর স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআইয়ের মাধ্যমে তা ম্যাচিং ইঞ্জিনে যুক্ত করে। কিন্তু আমাদের এখানে অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার ও ম্যাচিং ইঞ্জিন দুটিই স্টক এক্সচেঞ্জ দিচ্ছে।

‘আধুনিক অ্যাপে ব্রোকার হাউজগুলো নিজেরা অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার তৈরি করবে এবং এপিআইয়ের মাধ্যমে ম্যাচিং ইঞ্জিনে যুক্ত হবে। তখন ব্রোকার হাউজগুলো তাদের অর্ডার ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি বিও হিসাবধারীদের জন্য আলাদা মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, এখন যেহেতু লেনদেনের দুটি সিস্টেমই স্টক এক্সচেঞ্জ দিচ্ছে, তাই সবার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা আছে। তখনও থাকবে, তবে তা আরও আধুনিক হবে।

এ বিভাগের আরো খবর