নতুন বছর শুরুর মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে এসেছে যুক্তরাজ্য।
ব্রেক্সিট অন্তর্বর্তী সময় বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে শেষ হয়। এর মধ্য দিয়ে ইইউর আগের বাণিজ্য বিধিমালা আর মানতে হচ্ছে না যুক্তরাজ্যকে।
ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যচুক্তি অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন নিয়মনীতি। ভ্রমণ, বাণিজ্য, অভিবাসন ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ ও যুক্তরাজ্যকে এ দিন থেকে নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য এ এক অসাধারণ মুহূর্ত। আমরা এখন স্বাধীন। আমাদের ওপরেই নির্ভর করছে একে আমরা কীভাবে কাজে লাগাব।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম বলবৎ হওয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা সতর্ক করেছেন।
২০১৬ সালে ইইউ থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাজ্যের নাগরিক। সাড়ে তিন বছর পর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে আসে দেশটি।
কিন্তু ইইউর বাণিজ্য বিধিমালা ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে গত ১১ মাস ধরে উভয় পক্ষ বারবার বৈঠকের পরও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি।
পরে বড়দিনের দিন বহুল প্রতীক্ষিত ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যচুক্তিতে সম্মত হয় যুক্তরাজ্য ও ইইউ। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ওই চুক্তি অনুমোদনের পর বুধবার এটি আইনে পরিণত হয়।
চুক্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ইইউর অভ্যন্তরীণ বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে যুক্তরাজ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে যুক্তরাজ্য ও ইইউর মধ্যকার ব্যবসা ও ভ্রমণ বিষয়ে পুরোপুরি ফয়সালা বাকি রয়েছে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যাঙ্কিং ও সেবাখাত নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি।
এদিকে যুক্তরাজ্য ‘বন্ধু ও মিত্র’ হিসেবেই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।