বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমল ১০ টাকা

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:১৪

ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে আমদানিকারকরা মজুত পেঁয়াজ ছেড়ে দিয়েছেন। ১ জানুয়ারি ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে। অনেক ব্যবসায়ী বুকিং শুরু করে দিয়েছেন।

ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরেই দেশের বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে।

বুধবার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৫, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৪৫ টাকায়। মিশরীয় পেয়াঁজ বিক্রি হয় ২৮ টাকায়, গত সপ্তাহে তা ছিল ৩৮ টাকা। নেদারল্যান্ডের পেঁয়াজ ২৫ টাকায় বিক্রি হয়, গত সপ্তাহে তা বিক্রি করা হয় ৩২ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৫ টাকা দরে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩২ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে আমদানিকারকরা মজুত পেঁয়াজ ছেড়ে দিয়েছেন। এ জন্য দাম কমেছে।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা নিউজবাংলাকে বলেন, বেশি দামে কেনা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বর্তমানে অনেক আমদানিকারকের কাছে মজুত রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলে বাড়তি দামে কেনা পেঁয়াজ নিয়ে লোকসানে পড়তে হবে। এ জন্য মূলত আমদানিকারকরা বাজারে পেঁয়াজ ছেড়ে দিয়েছেন।

ভারতের দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ জন্য কয়েক সপ্তাহে ভারতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অনেকটা কমে এসেছে। তাই দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৪ সেপ্টেম্বর দেয়া রপ্তানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর সোমবার এক আদেশে বলেছে, সব ধরনের পেঁয়াজের ক্ষেত্রে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্ত ১ জানুয়ারি কার্যকর হবে।

ভারতের এই সিদ্ধান্তের কথা মুখে মুখে শুনেছেন বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জ কাঁচাপণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি বলেন, ‘দিনাজপুরের হিলিসহ বিভিন্ন স্থলবন্দরের ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ১ জানুয়ারি ভারত থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে। অনেক ব্যবসায়ী বুকিং শুরু করে দিয়েছেন।’

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুতে ঘাটতির কারণে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। একপর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকায়ও বিক্রি হয়। পরে সরকার পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক হ্রাস করায় ব্যবসায়ীরা অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল নিউজবাংলাকে বলেন, গত ছয় মাসে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, ইরান ও রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে ২লাখ ৯ হাজার ৩৪ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আরপি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তার বিপরীতে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বছরে দেশে পেঁয়াজ হয় ২৩ লাখ টনের বেশি। চাহিদা রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ টন। তারপরও শুধু নষ্ট হওয়ার কারণে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। কারণ দেশে উৎপাদিত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়।

এ বিভাগের আরো খবর