পুঁজিবাজারের লোকসানি ও বন্ধ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলো চাইলে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হতে পারবে। এ জন্য সাতটি শর্ত দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানির সাত শর্ত পূরণ হলে সেই কোম্পানি চাইলে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হতে বা বেরিয়ে যেতে পারবে।
তবে ওটিসিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি, মূল মার্কেট থেকে ইতোমধ্যে তালিকাচ্যুত, এটিবিতে অন্তর্ভূক্ত কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবে।
কোম্পানির দুই বছরের বেশি সময় বাণিজ্যিক উৎপাদন না থাকলে, পরিশোধিত মূলধন থেকে পুঞ্জীভূত লোকসান বেশি হলে ও তিন বছর ধরে লোকসান থাকলে তালিকাচ্যুত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কোম্পানি। একই সঙ্গে নগদ লভ্যাংশ দিতে টানা তিন বছর ব্যর্থ হলে, টানা দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা করতে না পারলে, ডেবট সিকিউরিটিজের বিপরীতে টানা তিন কিস্তি সুদ বা কুপন বা মুনাফা দিতে না পারলে, ডেবট সিকিউরিটিজের দুই কিস্তি দিতে ব্যর্থ হলেও এই নির্দেশনায় অন্তর্ভুক্ত হবে কোম্পানিগুলো।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, বিষয়টির বিস্তারিত বিএসইসি ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। নির্দেশনায় উল্লেখিত কোম্পানিগুলো চাইলে তা বাস্তায়ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারকে স্বচ্ছ, গতিশীল ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কমিশন কাজ করছে। এটি তারই একটি পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ২০১৯ সালে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড বিধিমালা, ২০১৯ অনুমোদন করে। এখানে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, যেকোনো ধরনের বন্ড, ডিবেঞ্চার, সুকুক, বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্ভুক্তি করা হয়।
পুঁজিবাজারের তালিকাচ্যুত কোম্পানি এবং ওটিসি মার্কেটে থাকা কোম্পানিগুলো নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে অন্তর্ভুক্তিরও সুযোগ রয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ওটিসি মার্কেট গঠিত হয়। বর্তমানে ডিএসইর ওটিসি মার্কেটে ৬৪ কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে।