বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুকুক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা তুলল সরকার

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ডের মুনাফার হার নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি পঞ্জিকা বছরের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এই হারের সঙ্গে আরও ১ শতাংশ যোগ করে বার্ষিক ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ মুনাফা পাবে সুকুক বন্ডধারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

প্রথম দফায় সুকুক বন্ড ইজারার মাধ্যমে চার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ তুলেছে সরকার। এ অর্থ সারা দেশে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে গণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিচালিত একটি প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।

প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৮ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুই দফায় সুকুক থেকে আট হাজার কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। দ্বিতীয় দফার নিলাম হবে ২০২১ সালের ২৮ জুন।

সোমবার সুকুকের প্রথম দফা নিলামের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই নিলামে অংশ নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ডের মুনাফার হার নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি পঞ্জিকা বছরের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করেছে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এই হারের সঙ্গে আরও ১ শতাংশ যোগ করে বার্ষিক ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ মুনাফা পাবে সুকুক বন্ডধারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

অর্থ মন্ত্রণালয় এই বন্ডের ইজারাদার ও সার্ভিসিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। গত ২২ ডিসেম্বর এ লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশে ব্যাংকের একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক গাইডলাইন, ২০২০ অনুসারে সুকুক ইস্যুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পেশাল পারপাস ভেইকল (এসপিভি) এবং ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

গত ৮ অক্টোবর সুকুক ইস্যু ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত গাইডলাইন অনুমোদিত হয়। গাইডলাইনের অনুচ্ছেদ ৪ অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশ ব্যাংককে এসপিভি ও ট্রাস্টি হিসেবে ১৯ অক্টোবর নিয়োগ দেয়। সে আলোকেই অর্থ বিভাগের সঙ্গে এই চুক্তি।

প্রসঙ্গত, ইসলামিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সুদভিত্তিক কারবার করে না বলে সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারত না। সুকুক চালুর ফলে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিকল্প হিসেবে এ খাতে বিনিয়োগ করে কিছু মুনাফা করতে পারবে।

প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো যেমন বিনিয়োগ করা ট্রেজারি বিল ও বন্ড তাদের বিধিবদ্ধ তারল্য মজুত বা এসএলআর হিসেবে দেখাতে পারে, তেমনি ইসলামিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও সুকুককে এসএলআর হিসেবে দেখাতে পারবে।

এ বিভাগের আরো খবর