লেনদেন শুরুর দ্বিতীয় দিনেও পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটার শেয়ার কিনতে পারেননি আগ্রহী ক্রেতারা। লেনদেনের এক ঘণ্টায় ছয় কোটির বেশি শেয়ার কেনার প্রস্তাব থাকলেও ছিল না বিক্রেতা।
রোববার সকাল ১০টায় শুরু হয় পুঁজিবাজারের দিনের কার্যক্রম। লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটেই ৫০ শতাংশ দাম বেড়ে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করে রবি। আগের দিনের প্রতি শেয়ারে দাম ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয় সাড়ে ২২ টাকা।
পুঁজিবাজারের প্রতিটি কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার আছে। মূলত এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ শতাংশ বাড়তে পারবে তা নির্দেশ করে এই সার্কিট ব্রেকার।
পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির লেনদেনে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে। তৃতীয় দিন থেকে এর সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ।
ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেনের এক ঘণ্টায় রবির ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসইতে) লেনদেনের শুরুতেই দিনের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছায় রবির শেয়ার। এক ঘণ্টায় সিএসইতে ২৯ লাখ ১৬ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। সাড়ে ২২ টাকায় শেয়ার কেনার প্রস্তাব জমা পড়ে সাড়ে ৬৬ লাখের বেশি।
রবি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রথমদিন ১০ টাকার শেয়ার ১৫ টাকায় লেনদেন হয়েছিল মাত্র এক লাখ ১৭ হাজার ১৬২টি শেয়ার।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী নাজমুল আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, রবির আর্থিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল হলেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আছে। কিন্তু কেউ শেয়ার বিক্রি করছেন না। আশা করছি, সোমবার থেকে দাম বৃদ্ধির সীমা কমলে কিছু মানুষ শেয়ার বিক্রি করবেন।
রবি ১০ টাকা মূল্যের ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার বাজারে ছেড়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তুলেছে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকা।