বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাগ্য খুলল বেসরকারি পাটকলগুলোর

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:৪১

দেশে বছরে প্রায় ২০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা রয়েছে। এগুলো সরকারি ও বেসরকারি পাটকলগুলোর মাধ্যমে পূরণ করা হতো। সরকারি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তা বেসরকারি উৎস থেকে আসবে।

দেশের পাটের বস্তার যে চাহিদা, তার ৫০ শতাংশ সরবরাহ করত সরকারি পাটকলগুলো। বাকি ৫০ শতাংশ আসত বেসরকারি উৎস থেকে। সরকারি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভাগ্য খুলল বেসরকারি উৎপাদনকারীদের।

সরকারি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রজ্ঞাপন পরিবর্তন করে বেসরকারি উৎপাদনকারীদের যুক্ত করা হচ্ছে।

আগে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে প্রয়োজনীয় পাটের বস্তার ৫০ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) এবং বেসরকারি উৎস থেকে নেয়া হবে ৫০ শতাংশ।

বেসরকারি উৎসের মধ্যে বেসরকারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বস্তা সরবরাহকারী ট্রেডার্সরা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এখন বেসরকারি উৎসের পাশাপাশি বেসরকারি উৎপাদনকারীদের যুক্ত করা হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি ‘বেসরকারি উৎপাদনকারক প্রতিষ্ঠান দেবে ৫০ শতাংশ এবং বেসরকারি উৎস থেকে নেয়া হবে ৫০ শতাংশ’ এমন প্রজ্ঞাপন জারির সুপারিশ করেছে।

গত ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০-এর আওতায় উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এতে বেসরকারি খাতের কার্যক্রম আরও বাড়ল উল্লেখ করে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সচিব এম বারিক খান নিউজবাংলাকে বলেন, দেশে বছরে প্রায় ২০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা রয়েছে। এগুলো সরকারি ও বেসরকারি পাটকলগুলোর মাধ্যমে পূরণ করা হতো। এ ছাড়া বস্তা সরবরাহকারী ট্রেডার্সদের কাছ থেকেও সংগ্রহ করা হতো।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেসরকারি উৎসের পাশাপাশি বেসরকারি উৎপাদনকারকদের কাছ থেকেও সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যদিও আগে বেসরকারি উৎসের মধ্যে বেসরকারি উৎপাদনকারীরাও যুক্ত ছিল। এখন আলাদা করে ঘোষণা করায় বেসরকারি উৎপাদনকারকদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ল।

বর্তমানে ১৯টি পণ্য মোড়কজাতকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা আছে। এগুলো হচ্ছে ধান, চাল, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা ও তুষ-খুঁদ-কুড়া, পোল্ট্রি ও ফিস ফিড।

উপদেষ্টা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছর ও চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত করতে মোট দুই হাজার ১৩৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময়ে ৪৯ জনকে কারাদণ্ডসহ ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

গত ২৮ জুন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারি ২৫টি পাটকলের উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

এ বিভাগের আরো খবর