আগামী ২০ বছরের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণার মধ্যে দেশে নতুন একটি সিগারেট কারখানা স্থাপনের চুক্তির সমালোচনা করছে ধূমপানবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা।
পাবনার ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় এই কারখানাটি করা হবে। দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক এশিয়ান টোব্যাকো এটি স্থাপন করবে। বুধবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এর সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে।
কী শর্তে এই সিগারেট কোম্পানি স্থাপন করা হচ্ছে, সেটা প্রকাশ করা হয়নি। তবে বেপজায় কোনো প্রতিষ্ঠান যেসব পণ্য উৎপাদন করে, তা দেশে বিক্রির সুযোগ নেই।
তবে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) বলছে, নতুন সিগারেট কারখানা স্থাপন ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের বিরোধী।
প্রজ্ঞা বলছে, সংবিধান অনুযায়ী জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র কোনোভাবেই এই মৃত্যু বিপণনকে উৎসাহিত করতে পারে না।
বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ২৬ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যায় বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞার বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী তামাক ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তামাক কোম্পানিকে উৎসাহিত করে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন সম্ভব নয়।'
তিনি বলেন, ‘কেবল রপ্তানির উদ্দেশ্যে সিগারেট কারখানা স্থাপন করা হলেও দেশে তামাক চাষ এবং উৎপাদন দুটোই বেড়ে যাবে। তামাক নিয়ন্ত্রণের আন্তর্জাতিক চুক্তি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল- এফসিটিসি’র প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে বহুল সমাদৃত। তামাকপণ্য রপ্তানি বিশ্বকে নেতিবাচক বার্তা প্রদান করবে।’