লেনদেনের প্রথম দিনে রবির শেয়ার হাতছাড়া করতে চাননি বিনিয়োগকারীরা। আরও বেশি দামের আশায় শেয়ারটি ধরে রেখেছেন তাদের বেশিরভাগই। ফলে বেচাকেনা হয়েছে খুব সামান্যই।
নিয়মানুযায়ী লেনদেনের প্রথম দিন কোনো শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে। সেই হিসাবে রবির শেয়ার বেড়েছে মাত্র পাঁচ টাকা।
এ দামে শেয়ার বিক্রি লাভজনক মনে না করায় অপেক্ষার নীতি নিয়েছেন আইপিওতে বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১১ বছর পর পুঁজিবাজারে কোনো মোবাইল ফোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। এমন কোম্পানি থেকে বেশি মুনাফা তুলতে চান বিনিয়োগকারীরা। তাই কম দামে শেয়ার ছাড়েননি তারা।
অবশ্য রোববার আরও ৫০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রির সুযোগ তৈরি হবে। সেদিন সর্বোচ্চ সাড়ে ২২ টাকা দরে বিক্রি সুযোগ তৈরি হবে। এটি হলে প্রতি শেয়ারে লাভ হবে সাড়ে ১২ টাকা, অর্থাৎ মুনাফার হার দ্বিগুণেরও বেশি।
ফলে সেদিন থেকে লেনদেন বাড়তে পারে বলে ধারণা বাজার বিশ্লেষকদের। প্রথমদিন লেনদেন হয়েছে মাত্র এক লাখ ১৭ হাজার ১৬২টি শেয়ার, যার আর্থিক মূল্য ১৭ লাখ ৫৭ টাকা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে বলেছেন, ‘আজ থেকে রবির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি, এরপর বাজার আরও ভালো অবস্থায় যাবে।’
রবি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি শেয়ার বাজারে ছেড়েছে। এর মাধ্যমে তুলেছে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ার পুঁজিবাজারে প্রথম লেনদেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যন মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, একটি টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে ভালো, মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি অত্যন্ত জরুরি৷
পুঁজিবাজারে রবির তালিকাভুক্তিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার মিস হাজনাহ্ মো. হাশিম বলেন, রবি অজিয়াটার তালিকাভুক্তি বাংলাদেশে পাবলিক তালিকাভুক্তি জন্য একটি বড় পদক্ষেপ৷ এটি মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ৷ এটি ভারতের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কেরও প্রতিফলন৷
রবির এমডি ও সিইও মাহতারব উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের এটা নিশ্চিত করতে পারি যে, আমরা সঠিক ডিজিটাল ভিশন নিয়েই এগুচ্ছি। এই ভিশন পূরণে আমরা গড়ে তুলেছি এক দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা পরিষদ। এর মানে এই নয় যে, সব সম্ভাবনা রাতারাতি বাস্তবে রূপ নেবে। আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটি ডিজিটাল ভিশন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি।'
ডিএসইর এ অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী, চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার ও কোম্পানি সেক্রেটারি সাহেদ আলম, আইএলডিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ খান।
এদিন বিকালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ঢাকা অফিসে আরও একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।