সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) পরিচালক হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ারধারী পরিচালক রকিবুর রহমানের নিয়োগ নিয়ে সমালোচনার ব্যাখ্যা দিয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জটি।
মঙ্গলবার রাতে লিখিত ব্যাখ্যায় বলা হয়, কয়েকটি জাতীয় দৈনিক এবং অনলাইন নিউজপোর্টালে সিসিবিএলের পরিচালক পদে রকিবুর রহমানের নিয়োগ নিয়ে কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা ডিএসই কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
রকিবুর রহমান ডিএসইর ট্রেকহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডার প্রতিনিধি ছিলেন। পরে তিনি ট্রেকহোল্ডারের প্রতিনিধিত্ব হস্তান্তর করেন।
ফলে তিনি বর্তমানে স্টক এক্সচেঞ্জটির কেবলই শেয়ারহোল্ডার প্রতিনিধি। ডিএসইর আগের পরিচালনা পর্ষদ দুজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালককে সিসিবিএলের পরিচালনা পর্ষদে প্রতিনিধি মনোনীত করেন।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সিসিবিএলের পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পান রকিবুর রহমান।
গত জুনে ১৩ সদস্যের সিসিবিএল বোর্ডকে অনুমোদন দেয় বিএসইসি, যেখানে সিসিবিলের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ নিশ্চিত হয় রকিবুর রহমানেরও।
তবে এর পরপরই শুরু হয় সমালোচনা। রকিবুর রহমান ট্রেকহোল্ডার প্রতিনিধিত্ব ছেড়েছেন দাবি করলেও, তার মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজের ওয়েবসাইটে মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নাম ছিল।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট) বিধিমালা, ২০১৭-এর তফশিল-২-এর বিধি ১৮ (চ) অনুসারে কোনো ট্রেডিং পার্টিসিপেন্টস অথবা তাদের প্রতিনিধি সিসিবিএলের পরিচালক হতে পারবে না।
তবে রকিবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, তার ছেলে আশেকুর রহমানকে ট্রেকহোল্ডারের প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছেন।
দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সব সিকিউরিটিজের (শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, ডিবেঞ্চার) লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট ব্যবস্থার জন্য গঠন করা হয় সিসিবিএল।