পুঁজিবাজারের লেনদেনে বৃহস্পতিবার থেকে যুক্ত হচ্ছে বহুজাতিক মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা। বিনিয়োগকারীদের চোখ এখন সেদিকেই।
আইপিও ও লটারি বিজয়ীদের মাঝে শেয়ার বরাদ্দ শেষে এখন তালিকাভুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে কোম্পানিটি।
তবে প্রথম দিন রবির শেয়ার খুব বেশি লেনদেন হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে নিয়মে তালিকাভুক্তির প্রথম ও দ্বিতীয় দিন নতুন কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে না। তৃতীয় দিন থেকে বাড়তে পারবে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের মতো।
সেই হিসাবে প্রথম দিন রবির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠবে ১৫ টাকা। আর রোববার দ্বিতীয় দিনে উঠবে সাড়ে ২২ টাকা পর্যন্ত।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যারা আইপিওতে শেয়ার পেয়েছেন তাদের কেউ ১৫ টাকায় বিক্রি করতে চাইবেন না। ফলে প্রথম দিন লেনদেনের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে লেনদেন বাড়তে পারে।
যারা বেশি শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন দ্বিগুণ মুনাফা পেলে তাদের অনেকেই এ দিন বেচতে পারেন।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করেছে ৫৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর বিপরীতে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আবেদন জমা পড়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার।
পরে লটারির মাধ্যমে চার লাখ ৬৫ হাজার ২৯০ জন বিনিয়োগকারীর মাঝে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়। যদিও আবেদন করে সাড়ে ১২ লাখের মতো বিনিয়োগকারী।
এদের মধ্যে যারা লটারিতে পাননি তাদের অনেকেরই আগ্রহ থাকবে শেয়ারটি পাওয়ার।
আজমল হোসেন নামের এক বিনিয়োগকারী নিউজবাংলাকে বলেন, গ্রামীণফোনের পর রবির মতো কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে বিনিয়োগ পরিধি বাড়বে। যদিও ররিব আর্থিক অবস্থা ততটা আকর্ষণীয় নয়।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারের ধসের পর তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমরা বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে বলছিলাম। এখন তারা আসছে, এটা সুখবর। তারা শেয়ার বেচে বাজার থেকে পালিয়ে যাবে না কিংবা বিনিয়োগকারীদের ৫-১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার কোম্পানিও না।’
তার আশা, ‘রবি পুঁজিবাজারে ভালো করবে।’
পুঁজিবাজারের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তাই এখন রবির মতো বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে আরও আসা উচিত বলে মনে করেন সাবেক এ ডেপুটি গভর্নর।
আর পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না হলেও রবির তালিকাভুক্তি অনেক বড় বিষয়।’
পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় ৫ হাজার কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে রবি। এর আগে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধনী কোম্পানি ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক।