জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় সুকুক ইস্যুর কার্যক্রম নিয়েছে সরকার। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সুকুক ছাড়া হবে।
সুকুক হচ্ছে এক ধরনের বিনিয়োগ বন্ড। এটিকে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বিনিয়োগ বন্ডও বলা চলে। সুকুক আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে সিলমোহর লাগিয়ে কাউকে অধিকার ও দায়িত্ব দেয়ার আইনি দলিল। শরীয়াহ ভিত্তিক নিরাপদ বিনিয়োগ ইনস্ট্রুমেন্টে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকার এই বন্ড ইস্যু করতে যাচ্ছে।
এর মাধ্যমে ইসলামি ব্যাংকিংখাতের তারল্যকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের উৎস হিসেবে ব্যবহার, সরকারি ঋণের পোর্টফোলিও সম্প্রসারণের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করতে চায়। পাশাপাশি ব্যয় সাশ্রয়ে সর্বোচ্চ নজর রাখতেই সরকার ইসলামি বন্ড ‘সুকুক’ ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মঙ্গলবার এ লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশে ব্যাংকের একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক গাইডলাইন, ২০২০ অনুসারে সুকুক ইস্যুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পেশাল পারপাস ভেইকল (এসপিভি) এবং ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ অক্টোবর সুকুক ইস্যু ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত গাইডলাইন অনুমোদিত হয়েছে। গাইডলাইনের অনুচ্ছেদ ৪ অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশ ব্যাংককে স্পেশাল পারপাস ভেইকল বা এসপিভি এবং ট্রাস্টি হিসেবে ১৯ অক্টোবর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে আলোকেই অর্থ বিভাগের সঙ্গে এই চুক্তি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ জানিয়েছে, অনুমোদিত গাইডলাইন অনুযায়ী স্পেশাল পারপাস ভেইকল বা এসপিভি শরীয়াহ্ নীতিমালা অনুসরণ করে সুকুক ইস্যুর লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব শরীয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটিতে উঠাবে।
ওই কমিটির মতামত অথবা পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া সুকুক গ্রাহকের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষাসহ সুকুক সম্পদের ব্যবহার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক এবং তদারকি কার্যক্রম সঠিক ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিচালনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি সুকুক সম্পদ পরিচালনায় সুকুক গ্রাহকদের আইনানুগ স্বার্থ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর আওতায় সব ধরনের বিরোধও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেবে।