বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজশাহী কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি পাচ্ছে অনভিজ্ঞরাও

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৫৯

পদোন্নতির বিষয়ে অন্যান্য প্রার্থীরা যাতে কোনো ধরনের আপত্তি তুলতে না পারে, সেজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গিকারনামাও গ্রহণ করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

শর্ত পূরণ না করেও পদোন্নতির মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) প্রায় ৩০ কর্মী।

এদের পদোন্নতির বিষয়ে অন্যান্য প্রার্থীরা যাতে কোনো ধরনের আপত্তি তুলতে না পারে, সেজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গিকারনামাও গ্রহণ করছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যা পদোন্নতি নীতিমালার স্পষ্ট লংঘন।

পদোন্নতির মৌখিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বুধবার থেকেই। রাজশাহীতে রাকাবের প্রধান কার্যালয়ে এই পরীক্ষা হবে। প্রথমে ব্যাংক নিজেই মৌখিক পরীক্ষার একটি অংশ শেষ করবে। পরে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব জেহাদ উদ্দীন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী অফিসের মহাব্যবস্থাপক সমীর কুমার মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে থাকবেন।

রাকাবের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগেও শর্ত পূরণ না করে এক দফা পদোন্নতি পেয়েছেন এমন কর্মীর মধ্যে অন্তত ৯ জন এবারও শর্ত পুরণ না করে পদোন্নতির মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছেন।

এর মধ্যে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার জুলিয়া খাতুন, ফারজানা জামান ও সবিতা রানী এবার সহকারি মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) পদে পদোন্নতির মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। এই তিন জন আগের বার প্রিন্সিপাল অফিসার থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হওয়ার সময় মাঠ পর্যায়ে কাজ করা এবং ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ করেননি।

রাকাবের পদোন্নতি নীতিমালার ২.৭ (ক) ধারায় বলা আছে, প্রিন্সিপাল অফিসার থেকে সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পদে এবং সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার থেকে এজিএম বা তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতির জন্য অন্তত দুই বছর মাঠ পর্যায়ে এবং দুই বছর ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এ ধরনের অভিজ্ঞতাহীন কর্মীদের পদোন্নতির পর ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দেয়ার শর্ত পদোন্নতি নীতিমালায় থাকলেও সেই শর্ত পরিপালন করেনি রাকাব কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া বিপুল দেবনাথ, মিজানুর রহমান ও রুখসানা পারভিন আগেও শর্ত পুরণ না করে প্রিন্সিপাল অফিসার হয়েছিলেন। এবারও প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ছাড়াই তারা সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসারের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছেন।

মেহেনাজ সাবা ও কহিনুর আক্তার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করেই অফিসার থেকে সিনিয়র অফিসার পদে পদোন্নতির জন্য মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী, অফিসার থেকে সিনিয়র অফিসার পদে পদোন্নতি পেতে অন্তত দুই বছরের মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সহকারী মহাব্যবস্থাপক শিরীন আফরোজ মৌখিক পরীক্ষা দেবেন উপ-মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতির। অথচ কর্মজীবনে কখনোই ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেননি তিনি।

পদোন্নতির শর্ত পুরোপুরিভাবে পূরন না করে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন রাকাবের এমন আরও অন্তত ১৯ কর্মী। এরা বেশির ভাগই ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। পদোন্নতির জন্য মৌখিক পরীক্ষার মোট প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক।

এদিকে পদোন্নতি নিয়ে কোনো কর্মী যাতে ভবিষ্যতে কোনো আপত্তি তুলে মামলা করতে না পারে সেজন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যাংকটির কর্মীরা।

রাকাবের কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক রনজিত কুমার সেনের নির্দেশনা পেয়ে প্রত্যেক আঞ্চলিক প্রধানরা পদোন্নতির তালিকায় থাকা কর্মীদের কাছ থেকে এই অঙ্গিকারনামা সংগ্রহ করছেন।

রনজিত কুমার সেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে যাদের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই তাদেরকে পদোন্নতির পর আমরা মাঠ পর্যায়ে পোস্টিং দেব। আর যাদের ব্যবস্থাপকের কাজের অভিজ্ঞতা নেই তাদের ব্যবস্থাপকের পদে পোস্টিং দেব। তাহলে আর কোনো অভিযোগ থাকার কথা নয়।’

তবে আগের দফায় শর্ত পূরণ না করেও পদোন্নতির পর অনেককে অভিজ্ঞতা পূরণের জন্য মাঠ পর্যায়ে বা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দেয়নি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে রাকাবের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইদ্রিসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাতে সাড়া দেননি।

এ বিভাগের আরো খবর