আইনে নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন প্রকার সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক (সিএসআর) কার্যক্রমের আড়ালে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) তামাকপণ্যের প্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগ করে বেসরকারি গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংগঠন ভয়েসেস ফর ইন্টারঅ্যাকটিভ চয়েস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট (ভয়েস)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএটিবি কৌশলে তাদের তামাকপণ্যের প্রচার করছে। এর মাধ্যমে তামাকজাত পণ্য ব্যবহার আইনের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ফর টোব্যাকো কন্ট্রোল-এর পরিপন্থি কাজেও সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে তামাকপণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ভয়েস দীর্ঘদিন ধরেই তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে কাজ করে আসছে। তারা মৃত্যু বিপণন বাজারিকরণ থেকে তামাক কোম্পানিগুলোকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
বিএটিবির পৃষ্ঠপোষকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ‘ব্যাটল অফ মাইন্ডস’ (বিওএম)-২০২০ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
ধূমপান এবং তামাকজাত পণ্য ব্যবহার আইনে তামাক প্রচার বা বিজ্ঞাপনের জন্য সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা বা পুরস্কার নিষিদ্ধ। এমনকি তামাক সংস্থার নাম, সাইন, ট্রেডমার্ক বা সামাজিক ক্রিয়াকলাপের জন্য লোগো ব্যবহার করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এ আইন মানা হচ্ছে না।
ভয়েসের দাবি, বিএটিবি ধারাবাহিকভাবে তাদের প্রচার কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে বিওএমকে ব্যবহার করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোডশো, স্টার হোটেলগুলোতে ইভেন্ট আয়োজন, ব্যানার ও ফেস্টুন ক্যাম্পেইন এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের প্রচারমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
তরুণদের পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদেরও বিএটিবি প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ ভয়েসের। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ও আইন অমান্যের অপরাধের সমান বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ‘বিভিন্ন প্রকার সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে তামাকজাত কোম্পানিগুলি তাদের প্রচার চালাচ্ছে। এতে আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে।
‘আমি দেশের আইনপ্রণেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যাতে এই সকল বিষয়গুলোকে পর্যবেক্ষণ করেন ও তামাকজাত কোম্পানির প্রচার ও প্রসার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেন।’