বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাপান কোরিয়া স্পেনের নামে চীনের কম্বল

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:৩৮

রোববার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে জানা যায়, এখন চাহিদা মূলত কম্বলের এবং তা হতে হবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা স্পেনের। তবে বাজার সয়লাব চীন থেকে আনা কম্বলে। চীনের কম্বলই বিক্রেতারা চালিয়ে দিচ্ছেন জাপান, কোরিয়া ও স্পেনের নামে।

পৌষের শুরুতেই দেশের অনেক এলাকায় তীব্র শীত পড়ে। রাজধানী ঢাকায়ও শীত পড়তে শুরু করেছে। এ মৌসুম সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে উঠেছে শীতের পোশাক। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে অন্য বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কম।

রোববার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে আরও জানা যায়, এখন চাহিদা মূলত কম্বলের এবং তা হতে হবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা স্পেনের। তবে বাজার সয়লাব চীন থেকে আনা কম্বলে। চীনের কম্বলই বিক্রেতারা চালিয়ে দিচ্ছেন জাপান, কোরিয়া ও স্পেনের নামে।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ‘সুপার মার্কেট’ এর নিচ তলার বিছানার চাদর, পর্দা ও মশারির ব্যবসায়ীরা এখন কম্বল বিক্রি করছেন।

তাদের একজন জসিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে আবার লকডাউন আসতে পারে ভেবে আমদানিকারকরা কম্বল কম আনছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ কম্বলও বিক্রি করতে পারছি না। গত বছর এ সময়ে দিনে এক লাখ টাকার কম্বল বিক্রি হলেও এ বছর সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকার কম্বল বিক্রি হয়েছে।’

এসব কম্বল কোথা থেকে আনা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশই চায়না থেকে আসে। ইম্পোর্টাররা নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড কারখানায় আনেন। সেখান থেকে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারসহ গুলিস্থানের বিভিন্ন মার্কেটে পাইকারি বিক্রি করে। আমরাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সেখান থেকে কিনে বিক্রি করি।

‘কম্বলের গায়ে জাপান, কোরিয়া, স্পেন এমন অনেক দেশের নাম লেখা থাকবে। কিন্তু আসলে এগুলো সব চায়না থেকে আসে। কাস্টমাররা চায় কোরিয়া, জাপান, স্পেনের কম্বল। তাই ইম্পোর্টাররা চীনের কোম্পানিগুলোকে বলে দেয়, কম্বলের গায়ে যেন কোরিয়া, জাপান, স্পেনের নাম লেখা থাকে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে চীনা কম্বলের বাইরে আমাদের দেশে তৈরি কিছু কম্বল আছে। চায়না কম্বলগুলো আমরা ৫০০ থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকায় পর্যন্ত বিক্রি করি। দেশি কম্বল বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।’

বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনের ফুটপাতেও পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের কম্বল। সেখানকার বেশিরভাগ দোকানদারের দাবি, এসব কম্বল জাপান, কোরিয়া, স্পেন ও চীনের।

তবে মনির শেখ নামের এক দোকানি বলেন, ‘এইহানে যত কম্বল দেখতাছেন সব চায়না থেকে আনা। চায়না থেইকা আইনা গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারে পাইকারি বিক্রি হয়। আমরা অইখান থেইকাই কিনা আনি। ইম্পোর্টাররা একেক দ্যাশের নাম দ্যায় কম্বলে। তয় এইগুলা সব চায়না মাল। যে য্যাম্নে বেইচা খাইতে পারে, বুঝেন না?’

দিনে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার কম্বল বিক্রি করছেন বলে জানান মনির শেখ।

রোববার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনের ফুটপাতে দুই থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত কম্বলের দাম চাচ্ছিলেন দোকানিরা।

এ বিভাগের আরো খবর