ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে অর্থ আত্মসাতে সন্দেহভাজন পি কে হালদার তার মেয়ে বন্ধুর ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
এমন ৭০ থেকে ৮০টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি নির্মূলে কাজ করা স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থাটি।
রোববার সকালে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সুপ্রিম কোর্টের গেটে সাংবাদিকদের এ কথা জানান৷ তবে হালদারের কেউ মেয়ে বন্ধু কে, তিনি কী করেন, তা প্রকাশ করেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানে জানতে পেরেছি, তিনি অবিবাহিত। এবং অবিবাহিত থাকার সুবাদে আত্মসাৎ করা কোটি কোটি টাকা পি কে হালদার তার গার্লফ্রেন্ডের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে এরকম ৭০-৮০টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য আমরা পেয়েছি। এগুলো যাচাই-বাছাই হচ্ছে।’
পি কে হালদারের গার্লফ্রেন্ডেরও জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেলে তারাও মামলায় আসামি হবে বলে জানান দুদক আইনজীবী।
পিকে হালদারের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান দুদকের আইনজীবী।
অনিয়মের মাধ্যমে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। সম্প্রতি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়ে। এ জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন, যেন দেশে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা না হয়।
তবে উচ্চ আদালত হালদারকে দেশে আসার অনুমতি দিয়ে তাকে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। এরপর তিনি আর ফেরেননি। আর তাকে ধরে আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে সাহায্য চেয়েছে দুদক।
অভিযোগ আছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে বিভিন্ন কৌশলে দেড় হাজার কোটি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দুই হাজার কোটি টাকা বের করে বিদেশে পাচার করেছেন পি কে হালদার।
দুদকের করা মামলায় বলা হয়েছে, রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন পি কে হালদার। এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে থাকা ৮৩ জনের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে কৌশলে তিনি ও তার সহযোগীরা অর্থ আত্মসাৎ করেন।