করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা লেগেছে কোমল পানীয়র জায়ান্ট ব্র্যান্ড কোকো-কোলায়ও। খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই লম্বা একটা সময় লকডাউন চলেছে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও জনগণের অবাধ চলাচলে এখনও কিছু বিধিনিষেধ বহাল আছে।
সিনেমা হল, বার ও স্টেডিয়ামসহ জনসমাগম স্থলগুলো এখনও বন্ধ বেশিরভাগ দেশে। এসব কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সোডাজাতীয় কোমলপানীয় বিক্রিতেও।
এ অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা ব্যয় কমাতে বিশ্বজুড়ে ২ হাজার ২০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোকা-কোলা। এর মধ্যে এক হাজার ২০০ শ্রমিকই যুক্তরাষ্ট্রের।
প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র ইমেইল বার্তায় জানান, মোট কর্মীর ২ দশমিক ৫ শতাংশ ছাঁটাই করবে তারা।
চলতি বছরের শুরুর দিকের এক হিসাবে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে কোকা-কোলার কর্মীসংখ্যা ছিল প্রায় ৮৬ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই ১০ হাজার ৪০০ জন।
আরও: প্লাস্টিক দূষণে শীর্ষে কোকা-কোলা, পেপসি
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে কোকা-কোলা থেকে বলা হয়েছে, তারা একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সময়ের সঙ্গে এটা প্রকাশ করা হবে। এসব পরিবর্তনের পেছনে মহামারির বিষয়টি জড়িত নয়। তবে কোম্পানিকে এই পথে এগুতে বর্তমান পরিস্থিতি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
এর আগে আগস্টে উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের কর্মীদের ৪০ শতাংশকে আগেভাগে চাকরি ছাড়ার প্যাকেজ প্রস্তাব দেয় কোকা-কোলা। তখন বলা হয়েছিল, ঐচ্ছিকভাবে কর্মীদের ছাড়ার এই ধারা অব্যাহত রাখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি থেকে জানানো হয়েছে, নতুন করে দুই হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে তাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় ৫৫ কোটি ডলার থেকে ৩৫ কোটিতে নেমে আসবে, যা বাৎসরিক আয়ের সমান।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যভিত্তিক জার্নাল ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনে আগেই জানানো হয়েছিল, করোনার কারণে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে কোকা-কোলার।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বেড়েছে ১ শতাংশের কম। সব মিলিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত শেয়ারের দাম কমেছে ৩.৮ শতাংশ। সঙ্কুচিত হয়ে আসছে তাদের বাজারও।