বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রিকস ব্যাংকে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ২০:৪৪

শেখ হাসিনাকে বিশ্বের পাঁচ বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (এনডিবি) যোগ দেয়ার আহ্বান জানান মোদি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার এ প্রস্তাবে রাজি। কারণ, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।

ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সড়কে বাংলাদেশকে যুক্ত করতে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সম্মেলনে মোদি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশকে ব্রিকসের ব্যাংকে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদি অনুরোধ জানালে তাতে সম্মতি দেন শেখ হাসিনা।

সোয়া এক ঘণ্টার আলোচনায় দুই দেশের ‘উল্লেখযোগ্য ও স্পর্শকাতর’ পণ্য আমদানি-রফতানি, বিবিআইএন এবং বিদ্যুতের যৌথ গ্রিড স্থাপন নিয়েও কথা বলেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলন বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত বর্তমানে মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত একটি সড়ক তৈরি করছে। এই সড়কের শুরুতে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তারা প্রস্তাব দিয়েছিল- ভারত হয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে সড়কটি নিয়ে যাবে। কিন্তু তিনি একক সিদ্ধান্তে তা বাতিল করেছিলেন। যেমন সমুদ্রের নিচ দিয়ে সাবমেরিন কেবল তিনি বাতিল করেছিলেন।

‘তারা এখন অনেক ঘুরে সেই সড়ক তৈরি করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও কানেক্টিভিটি বাড়াতে এই সড়কে বাংলাদশকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। মোদি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।’

ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সড়কে যুক্ত হতে ২০১৬ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে ঢাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের পাঁচ বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতির (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) জোট ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (এনডিবি) যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এই দেশ পাঁচটি বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ জিডিপির অধিকারী। পাঁচ বছর আগে যাত্রা শুরু করা ব্যাংকটির প্রারম্ভিক মূলধন ১০০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতো পশ্চিমা বহুজাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয় ব্যাংকটিকে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছি। কারণ আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়।’

ভারত বাংলাদেশের কাছে কী চেয়েছে এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত তো অনেক পেয়েছে। তাদের ইস্টার্ন বর্ডার সিকিউরিটি সর্বকালের সেরা শান্তিতে আছে। আমরা এমনিতেই তাদের কাছ থেকে অনেক পণ্য কিনি। তারা আমাদের সঙ্গে অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য করে।

‘তাদের লোকের কর্মসংস্থান হয়। আমাদের দেশে তাদের অনেক মানুষ কাজ করে। তারা স্কিলড। তারা আমাদের সহায়তা করছে। তারা সিকিউর বর্ডারে আছে। আমরাও সিকিউর বর্ডারে আছি। শান্তিতে আছি। কোনো আতংক নেই।’

এ কে আবদুল মোমেন জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের ওপর নির্ভরশীল কিছু ‌‘স্পর্শকাতর পণ্যের’ রফতানি বন্ধ ও ভারতের কিছু পণ্য আমদানিতে ‘এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

বৈঠকে শেখ হাসিনা মোদিকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার। বিশেষ করে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি ও বাংলাদেশ থেকে পাটপণ্য রফতানির ক্ষেত্রে। এতে আগে থেকেই বিকল্প চিন্তা করা যায়। অন্যান্য পণ্য আমদানি-রফতানিতে ট্যারিফ-নন ট্যারিফ নিয়েও কথা হয়েছে।

বিবিআইএন নামে পরিচিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে অবাধ গাড়ি চলাচলের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিবিআইএন নিয়ে ভারতকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছি। এই চুক্তিতে এখনো ভুটান সই করেনি। আমাদের ট্রাক যেন ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে যেতে পারে, সে বিষয়ে তাদের সহায়তা চেয়েছি।

‘একই ভাবে ফেনী নদী পার হয়েও যেন আমাদের ট্রাক ওপারে আগরতলায় যেতে পারে, আমরা সে দাবিও তুলেছি। তারাও এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।’

এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে তাদের বিদ্যুত গ্রিড নিয়ে নতুন চিন্তা করার কথা বলেছেন। আমরা সে দেশ থেকে অনেক বিদ্যুৎ কিনে থাকি। এখন আমরা নিজেরাও অনেক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি।

‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ যাতে নেপাল বা ভুটানে রফতানি করতে পারি- সেজন্য তিন দেশের যৌথ গ্রিড স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, যাতে সবাই যার যার প্রয়োজনে যে কোনো দেশ থেকে বিদ্যুৎ নিতে পারি।’

এ বিভাগের আরো খবর