বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মোংলা বন্দরে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির নিলাম বন্ধের দাবি বারভিডার

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:৩৪

বারভিডার দাবি, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আগে দুই দফা নিলাম আয়োজন করত। ন্যায্য দাম না পেলে আবার সুযোগ দেয়া হতো। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে মোংলা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। দ্বিতীয় বার সুযোগ না দিয়েই নিলাম ডাকা হয়েছে।

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের রিকন্ডিশন্ড গাড়ির নিলাম কার্যক্রম এক বছর বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশনড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স এসোসিয়েশন (বারভিডা)।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বারভিডা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

নেতাদের অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলাম ডেকেছে। ৩০ লাখ টাকার গাড়ি নিলামে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ লাখে। এতে লোকসানের ঝুঁকি বাড়ছে গাড়ি আমদানিকারকদের।

বারভিডার দাবি, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আগে দুই দফা নিলাম আয়োজন করত। ন্যায্য দাম না পেলে আবার সুযোগ দেয়া হতো। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়ে মোংলা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। দ্বিতীয় বার সুযোগ না দিয়েই নিলাম ডাকা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে বলা হয়েছে যেসব গাড়ি নিলামের জন্য তালিকাভুক্ত হবে, সেগুলো খালাসের জন্য হাইকোর্টের অনুমতি লাগবে। এতে করে গাড়ি খালাসে জটিলতা বাড়বে। এটা কালো আইন। এ আইন দ্রুত সংশোধন করতে হবে।’

মোংলা কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, যেসব গাড়ি নিলামে ডাকা হয়েছে, সেগুলো ২০১৮ সালের আগে আনা। দীর্ঘ সময় ধরে এসব গাড়ি মোংলা বন্দরে পড়ে থাকায় মারাত্মক জট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার গাড়ির জট লেগেছে।

করোনাভাইরাসের কারণে গাড়ি বিক্রি ব্যাপক কমে গেছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তরা। এতে গাড়ি আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন নামমাত্র নিলাম হলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার পক্ষ থেকে বলা হয়, এরই মধ্যে হাজারখানেক গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে। গাড়ি বিক্রি করে আমদানিকারকেরা ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করবে। ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত না করায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হচ্ছে বলেও দাবি করেন বক্তারা।

বারভিডা বলছে, করোনার মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসে বারভিডা সদস্যদের প্রায় ৪০০ শোরুম বন্ধ থাকায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এক হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ভাইস প্রসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম সম্রাট, মো. জসিম উদ্দিন মিন্টুসহ শীর্ষ নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর