ক্রীড়া পোশাক ও সরঞ্জাম নির্মাতা জার্মান প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস তাদের রিবক ব্র্যান্ড বিষয়ে কিছু ব্যবসায়িক কৌশল নিয়ে ভাবছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্র্যান্ডটি বিক্রি করে দেয়ার মতো পরিকল্পনাও।
সোমবার অ্যাডিডাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে নতুন বছরের ১০ মার্চ, তখন কোম্পানিটির নতুন কৌশল প্রকাশ করা হবে।
রিবকের বাজার মূলত যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক। বোস্টনভিত্তিক কোম্পানিটি ২০০৫ সালে ৩৮০ কোটি ডলারে কিনে নেয় অ্যাডিডাস। কিন্তু নতুন ব্র্যান্ডটি নিয়ে লাভ হয়নি তাদের। তাই রিবক ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে অ্যাডিডাসের বিনিয়োগকারীরা।
রিবক কেনার জন্য এর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে জুতার ব্র্যান্ড ডিআর ম্যারটেন্সের মালিকানা প্রতিষ্ঠান পারমিরা। এ ছাড়া রয়েছে টিম্বারল্যান্ড ব্র্যান্ডের সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিএফ করপোরেশনও।
অ্যাডিডাস থেকে জানানো হয়েছে, রিবক বিক্রির সম্ভাব্য পরিকল্পনা তাদের নতুন পঞ্চবার্ষিকী কৌশলেরই অংশ।
২০১৬ সালে রিবক ব্র্যান্ডকে পুনরুজ্জীবিত করতে পরিকল্পনা নিয়েছিল অ্যাডিডাস। এতে বিক্রি ও লাভ কিছুটা বাড়ে।
২০১৯ সালের হিসাবে দেখা যায়, রিবকের সামগ্রী থেকে আয় ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ডলার।
তবে লাভের অঙ্কটা খুব আশাব্যঞ্জক হয়নি। ওই বছরে অ্যাডিডাসের বার্ষিক মোট আয়ে রিবকের অবদান ছিল মাত্র ৭ শতাংশ।
বলতে গেলে, অ্যাডিডাসের মালিকায় আসার পর রিবকের জনপ্রিয়তা এখন ফিকে হয়ে গেছে। ব্র্যান্ডটি এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ন্যাশনাল বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে (এনবিএ) স্পন্সর করত। এখন তা করা হয়, অ্যাডিডাসের ব্যানারে।
এ ছাড়া মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা আল্টিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে রিবকের ৭ কোটি ডলারের যে চুক্তি রয়েছে তাও সংক্ষিপ্ত করে নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এসব কারণে গত বছর রিবকের ব্র্যান্ডভ্যালু কমেছে অর্ধেক।
রিবকের কার্যালয় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন, ম্যাসাচুসেটসে। তবে এর শিকড় ইংল্যান্ডের বোল্টনে, গত শতকের ৫০ দশকে ওখানেই যাত্রা শুরু ব্র্যান্ডটির।
আধুনিককালে ব্র্যান্ডটির খ্যাতি ছড়ায় ১৯৮২ সালে রিবক ফ্রিস্টাইল এরোবিকস জুতা তৈরির মাধ্যমে। এরোবিকস ফিটনেস ট্রেন্ডের শুরুর দিকে নারীদের জন্য তারাই প্রথম অ্যাথলেতিক জুতা বানিয়েছিল।