এখন থেকে চাইলে ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটাল বুথ বা ডিজিটালইজড বিজনেস সেন্টার খুলে শেয়ার লেনদেন করতে পারবে ব্রোকারেজ হাউজ। এমন বুথ খোলা যাবে বিদেশেও।
গত রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এতে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদরে ডিজিটাল বুথ খুলতে পারবে ব্রোকারেজগুলো।
বিদেশেও একই ধরনের জায়াগায় বুথ খোলা যাবে। এ জন্য কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর স্টক এক্সচেঞ্জকে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
দেশে প্রতিটি বুথের বিপরীতে স্টক এক্সচেঞ্জে এক লাখ টাকা জামানত রাখতে হবে। দেশের বাইরে খুলতে রাখতে হবে ১০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারের ব্যাপ্তি বাড়ানোর পাশাপাশি বিনিয়োগ সহজ করতে ব্রোকারেজ হাউজের ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি।
এতে আরও বলা হয়, বুথগুলো অবশ্যই প্রধান বা শাখা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। কোনো তৃতীয়পক্ষ দিয়ে চালানো যাবে না।
এসব বুথের কাজ হিসাব খোলা-বন্ধ, লেনদেন এবং হিসাবের স্থিতি নিরীক্ষার মতো কার্যক্রম চালানোর মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
পল্লি এলাকায় এসব বুথে একজন গ্রাহক দিনে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবেন। আর পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে করা যাবে আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
বুথ খুলতে হলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে। গ্রাহক সেবার জন্য প্রতিটি বুথের বিপরীতে থাকতে হবে আলাদা মোবাইল ফোন।
গুজব প্রতিরোধেও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের পর মন্থর হয়ে যায় ব্রোকারেজ হাউজের শাখা খোলার কার্যক্রম। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজ হওয়ার পর থেকে ব্রোকারেজ হাউজের লাইসেন্স উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জোরাল হয়।
তবে ব্রোকারদের বিরোধিতায় আইনে সুযোগ রাখা হলেও তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
এমন বাস্তবতায় গ্রাম পর্যন্ত শেয়ারবাজারের বিস্তার ঘটাতে এবার ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দিলো বিএসইসি।