ধাক্কা সামলে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিমা খাত। রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হলেও, সোমবার আবারও বেড়েছে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৪৮টি বিমা কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টির। কমেছে ৯টির। আর অপরির্তীত ছিল তিনটির দর।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমা খাতের শেয়ারের উত্থানের পেছনে কারসাজি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিনিয়োগকারীদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দেয়। কিন্তু এ ব্যাপারে নতুন কোনো খবর না থাকায় আবার সক্রিয় হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সেক্রেটারি জাফর আলী নিউজবাংলাকে বলেন, বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার আইডিআরের ভূমিকার কারণে বিমা খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। তাদের ধারণা আগামীতে এ খাত ভালো করবে। মূলত এই ধারণা থেকেই এ খাতে ঝুঁকছেন সবাই।
তবে অনেকেই মনে করেন, বিমা খাতের উত্থানের মূলে কারসাজি। বাজারের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে এ খাতের শেয়ারে কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়েছে।
সমবায় অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ খাতে ব্যাপক কারসাজি হয়েছে বলে শুক্রবার খবর প্রকাশ করে একটি বাংলা দৈনিক।
সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১৪৭ পয়েন্টে। তবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমে হয়েছে ৯৭৯ কোটি টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৮টি শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ১৬৬টি আর অপরিবর্তীত ছিল ৭০টির।
লেনদেন শেষে বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। দাম বাড়ার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স। এর পরেই ছিল সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও নিটল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নাম।
এছাড়া মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ওষুধ, প্রকৌশলী, খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক খাতের শেয়ারেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।