স্রোতের বিপরীতে হঠাৎ ছন্দ পতন বিমা খাতের শেয়ারে। রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৪৮ বিমা কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৪৫টিরই।
গত কয়েক মাস ধরে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় থাকা বিমা খাতের শেয়ারের এ দরপতনকে স্বাভাবিক বলতে চান অনেকে। তাদের মতে, মুনফা তুলে নিতে বিনিয়োগকারীদের অনেকে শেয়ার বিক্রি করেছেন। কিন্তু ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি থাকায় দর পড়ে গেছে।
তবে অনেকে মনে করেন বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে গণমাধ্যমে কারসাজির খবর প্রকাশ হওয়ায় দাম কমার বড় কারণ।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে কারসাজির বিস্তারিত ছাপে। ওই খবরে বলা হয়, মাত্র চার মাসে কোনো কোনো বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম আট গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে সংঘবদ্ধভাবে এ কারসাজি করা হয়েছে বলে ওই খবরে বলা হয়। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা।
শুক্রবার খবরটি প্রকাশের পর থেকেই এ খাতের বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে ছিলেন। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে তারই প্রতিফল ঘটেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট যে কোনো খরবকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। সেটি যদি নেতিবাচক খবর হয়, তাহলে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়।’ রোববার সর্বোচ্চ প্রায় সাত শতাংশ দাম কমেছে নিটল ইন্সুরেন্সের। এরপরই রয়েছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের নাম। কমেছে পাঁচ দশমিক ৩২ শতাংশ। বেড়েছে কেবল ন্যাশনাল লাইফ, পূর্বাণী জেনারেল ও সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
বিমা খাতের মন্দ দিনে সুবাতাস বয়েছে বস্ত্র খাতে। এ খাতের ৫৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টির। কমেছে ১০টির আর অপরিবর্তীত ছিল ১০টির দর।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১২৬ পয়েন্টে। আর লেনদেন ছাড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ১৫৩টির আর অপরিবর্তীত ছিল ৬২টির দাম।