এখন থেকে কোনো বিমা কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসতে মূলধন বা ইক্যুইটির কমপক্ষে ২০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থাকতে হবে।
এছাড়া আইপিওর আকার হতে হবে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকা।
সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও যেসব বিমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি, তাদের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।’
পুঁজিবাজারের বাইরে রয়েছে বর্তমানে এমন কোম্পানির সংখ্যা ২৮টি। মূলত এসব কোম্পানিকেই শর্তটি মানতে হবে।
এর আগে বিমা কোম্পানিগুলোকে সিকিউরিটিজ বিধি থেকে ছাড় দেওয়া হয়, যাতে তারা নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতির আওতায় শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারে। বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন আহমেদ মনে করেন, এ নিয়মের ফলে পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত হবে।
তার মতে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হয়। কিন্ত বাইরে থাকায় অনেক কোম্পানি ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। বাজারে আনা গেলে তাদের মাঝেও শৃঙ্খলা ফিরবে।
এখনও পুঁজিবাজারে বাইরে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও এস এম নুরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা আছে আগামী বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার। বিএসইসি বা আইডিআরএ যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা পরিপালন করেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবো।’
নিমানুযায়ী বিমা কোম্পানির ব্যবসার শুরুর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। না হলে প্রতিদিনের জন্য গুণতে হয় জরিমানা।
বর্তমানে দেশে জীবন ও সাধারণ বিমা মিলিয়ে ৭৮টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৮টি।
আর দুটি তালিকাভুক্তির অপেক্ষায়। সেগুলো হলো- সোনালী লাইফ ও দেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটি যথাক্রমে ১৯ কোটি এবং ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।