রাষ্ট্রায়াত্ত অগ্রণী ব্যাংকের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক লীলা রশিদ।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে লীলা রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন করে বলার কিছু নেই। পর্যবেক্ষকের কাজটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের রুটিন কাজ। আমি এই কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের শেষ দিকে পর্যবেক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন লীলা রশিদ। তার অভিযোগ, অগ্রণী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত তাকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে দেননি।
তারা আরও জানান, সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকের ওপর বাড়তি নজরদারি করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়। পযবেক্ষকরা ব্যাংকের পর্ষদ সভায় অংশ নিতে পারেন। সেখানে পরিচালকদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ জানাতে পারেন। কোনো অসংগতি দেখলে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
তবে অগ্রণী ব্যাংকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালনে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বাধা দিয়েছেন বলে মাস তিনেক আগে গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন লীলা রশিদ। কিন্তু ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং ৭ ডিসেম্বর জায়েদ বখতের চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ আরও তিন বছরের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার।
জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট জুমে অনুষ্ঠিত অগ্রণী ব্যাংকের ৬৭৭তম পর্ষদ সভায় আফিয়া সিএনজি ফিলিং স্টেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি টাকার ঋণ প্রস্তাব আলোচনায় ওঠে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনা তহবিলের আওতায় এই ঋণ প্রস্তাব তোলা হয়।
ওই সভায় ছয় পরিচালকের মধ্যে তিন জন ঋণ না দেয়ার পক্ষে অবস্থান নেন। এরপরও ঋণটি যখন অনুমোদিত হচ্ছিল, তখন এ নিয়ে পর্যবেক্ষক লীলা রশিদ কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে দেন চেয়ারম্যান জায়েদ বখত। সভার পরদিন গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন লীলা রশিদ।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি লক্ষ করেছেন বিভিন্ন সভায় প্রায়ই অন্য পরিচালকদের মতামত উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করেন।