বস্ত্র শিল্পে তুলার যোগানের ক্ষেত্রে ভারতকে পাশে চায় বাংলাদেশ। দেশ দুটি একসঙ্গে কাজ করলে এই প্রতিযোগিতায় অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকা যাবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
শনিবার বাংলাদেশ-ভারতের দিনব্যাপী তুলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় ভারতের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে তুলা উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে তুলা উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। ভারত ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের বন্ধুদেশ। এই দেশটিকে আমরা তুলা আমদানিকারক দেশের তালিকায় শীর্ষে রাখতে পারি। এটা দুই দেশের জন্যই ভালো হবে।’
মো. শাহরিয়ার আলম জানান, বাংলাদেশ তুলার অন্যতম আমদানিকারক দেশ। তৈরি পোশাক খাতের মূল উপকরণই হলো তুলা। এ খাতে ব্যবহৃত তুলার ৯৮ শতাংশই আমদানি করে আনা হয়। বর্তমানে বিশ্বের ৪২টি দেশ থেকে তুলা আসে।
রাজধানীর রেডিসন হোটেলে দ্বিতীয়বারের মতো তুলা প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন। এতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান কটন অ্যাসোসিয়েশন লি. ও ইন্দো-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
শাহরিয়ার আলম জানান, ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশে তুলার উৎপাদন ছিল ৭০ হাজার বেল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তুলার উৎপাদন ছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার বেল।
বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুলতান রিয়াজ চৌধুরী জানান, এবারের প্রদর্শনীতে ভারতের ৩০টি কোম্পানি তাদের উৎপাদিত তুলা প্রদর্শন করছে। বাংলাদেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। করোনার কারণে এবারের আয়োজন কিছুটা সীমিত করে আনা হয়েছে।