বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রেক্সিট: রোববারের মধ্যে নাও হতে পারে বাণিজ্যচুক্তি

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৯:৩১

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দের লায়েন বলেন, ‘দুরূহ’ আলোচনার সম্ভাব্য পরিণতি চুক্তিবদ্ধ না হওয়া। অন্যদিকে জনসন বলেন, মাছ ধরার অধিকার ও ব্যবসা সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা নীতিমালার আলোচনায় ‘বড় ধরনের পরিবর্তন’ আনা দরকার ইইউর।

ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যচুক্তি রোববারের মধ্যে না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দের লায়েন বলেন, ‘দুরূহ’ আলোচনার সম্ভাব্য পরিণতি চুক্তিবদ্ধ না হওয়া।

অন্যদিকে জনসন বলেন, মাছ ধরার অধিকার ও ব্যবসা সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা নীতিমালার আলোচনায় ‘বড় ধরনের পরিবর্তন’ আনা দরকার ইইউর।

চুক্তিতে পৌঁছাতে কয়েক মাস ধরে ব্যর্থ আলোচনার পর দুই পক্ষের নেতাই রোববার সময়সীমা নির্ধারণ করেন।

৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্যচুক্তি অনুমোদনে ব্যর্থ হলে যুক্তরাজ্য ও ইইউ পরস্পরের পণ্যের ওপর কর, শুল্ক আরোপ করতে পারবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্যাবিনেট মন্ত্রী মাইকেল গোভ ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিবিহীন পরিস্থিতির পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসেন জনসন।

ইইউর ভাষ্য, জোটভুক্ত ২৭টি দেশের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের অন্যায্য সুবিধা চাইছে যুক্তরাজ্য, যা প্রতিহত করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর জোট। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের জলপথ ইইউকে ব্যবহার করতে না দিলে দেশটির মৎস্যজীবীরা ইইউর বাজারে তাদের পণ্য বিক্রিতে বিশেষ প্রবেশ সুবিধা আর পাবেন না।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ভাষ্য, সার্বভৌম দেশ হিসেবে নিজের জলপথ ও বিস্তৃত ব্যবসা নীতিমালা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।

আগামীতে যুক্তরাজ্য-ইইউর বাণিজ্য সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনের দায়িত্বে ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস থাকবে কি না, এ বিষয়েও উভয় পক্ষ একমত নয়।

অমীমাংসিত বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের পরিবর্তে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় জনসনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে ইইউ।

ইংল্যান্ডের নর্দামবারল্যান্ড কাউন্টির ব্লিথ শহরে এক কারখানা পরিদর্শনের সময় জনসন বলেন, ‘আমরা সবসময় আশাবাদী। আমাদের দল এখনও মীমাংসার লক্ষ্যে ব্রাসেলসে অবস্থান করছে। তারা (ইইউ) যদি বড় কোনো প্রস্তাব বা পরিবর্তনের কথা বলে তবে আমাকে বলতেই হবে, সে ধরনের কোনো কিছু আমার চোখে পড়েনি।’

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে যুক্তরাজ্যের জন্য পরিস্থিতি ভালোই থাকবে। কারণ ১ জানুয়ারি থেকে আমরা যা চাইছি, দেশ ঠিক সেভাবেই কাজ করছে; যদিও আমরা যা অর্জন করতে চেয়েছি, তা থেকে পরিস্থিতি ভিন্ন।’

এ বিভাগের আরো খবর