বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বিমায়

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:০০

‘সাধারণ বিমা কোম্পানির প্রিমিয়াম সংগ্রহের ক্ষেত্রে এজেন্টকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন দেয়ার বিষয়ে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে। এটি কার্যকর হলে কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমে আসবে। এতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বাড়বে। ইপিএস বাড়লে বছর শেষে বিনিয়োগকারীরা বেশি লভ্যাংশ দেয়া যাবে।’

পাঁচ দিন লেনদেনে শেষ হয়েছে গেল সপ্তাহের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের কার্যক্রম। সপ্তাহ জুড়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল বিমা খাতে। দ্বিতীয় পছন্দ খাত ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত।

সপ্তাহের শেষ কার্যদবিসে এই খাতের তালিকাভুক্ত ৪৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৩টি কোম্পানির আর পাল্টায়নি আটটি কোম্পানির দাম।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের গেল ৩ ডিসেম্বর শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪৪ টাকা। এর মধ্যে দামের উত্থান পতন থাকরেও সপ্তাহ শেষে কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়।

একইভাবে দাম বেড়েছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির। ৭ ডিসেম্বর যে কোম্পানির শেয়ার প্রতি দাম ছিল ৩৭ টাকা, ১০ ডিসেম্বর তা বেড়ে হয়েছে ৪১ টাকা।

গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারে উত্থান পতন থাকলেও সপ্তাহ শেষ শেয়ার প্রতি দাম বেড়েছে প্রায় সাত টাকা।

স্ট্যান্ডাড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানির সেক্রেটারি মুহাম্মদ কাউসার মুন্সি নিউজবাংলাকে বলেন, সাধারণ বিমা কোম্পানির প্রিমিয়াম সংগ্রহের ক্ষেত্রে এজেন্টকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন দেয়ার বিষয়ে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে। এটি কার্যকর হলে কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমে আসবে। এতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বাড়বে। ইপিএস বাড়লে বছর শেষে বিনিয়োগকারীরা বেশি লভ্যাংশ দেয়া যাবে।

এছাড়া গত বছরের বিমা দিবসে প্রধানমন্ত্রী জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান চার শতাংশে উন্নীত করার কথা বলেছিলেন। মূলত সেই ভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে আইডিআরএ। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ নিয়ে আগ্রহ আছে। আর এ জন্য পুঁজিবাজারে বিমা খাতের গুরুত্বও বাড়ছে।

গেল সপ্তাহে ওষুধ ও রসায়ন খাতের গুরুত্ব ছিল বেশ। বিশেষ করে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদেরর আগ্রহ ছিল বেশি। গেল সপ্তাহের এ কোম্পানির এককোটি ৩৪ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ছিল ১৯২ কোটি টাকা। এছাড়া অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন লিমিটেডের ৮৬ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৫৪ কোটি টাকা। স্কয়ার ফার্মার ৫২ কোটি টাকার ২৬ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহ শেষে এ খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টি এবং দাম অপরিবর্তীত ছিল সাতটি কোম্পানির।

গেল সপ্তাহে সার্বিক লেনদেনে এগিয়ে ছিল তালিকাভুক্ত ভালো মানের বা ‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির শেয়ার। সার্বিক লেনদেনে ৭৬ শতাংশ অবদান ছিল ভালো মানের কোম্পানির।

অর্থবছর শেষে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশের নীচে লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘বি’ ক্যাটাগরির অবদান ছিল ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘এন’ ক্যাটাগরির অবদান ছিল তিন দশমিক ৬৩ শতাংশ।

লভ্যাংশ দেয় না বা নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করে না এমন কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির অবদান ছিল এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

গেল সপ্তাহে পুঁজিবাজারে ৩৬৫টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৫টি কোম্পানির, দাম কমেছে ১০৭টি কোম্পানির এবং দাম বাড়েনি ৬০টি কোম্পানির।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক গেল সপ্তাহে ১১৯ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট। পুঁজিবাজারে বাছাই করা ৩০ কোম্পানির নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক গেল সপ্তাহে ৪৮ দশমিক ৩ পয়েন্ট বা দুই দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে।

গেল সপ্তাহের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধনে যোগ হয়েছে ১১ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল তিন লাখ ৯৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে হয়েছে চার লাখ ১০ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর