বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত কিংবা স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীলে উত্তরণের জন্য প্রস্তুতিতে থাকা দেশগুলো বৈশ্বিকভাবে ডিজিটাল বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এর কারণে উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ন্যায্য বাজারমূল্য হারানোর পাশাপাশি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দেশগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু দূষণের শিকার হচ্ছে।
ভার্চু্য়াল মাধ্যমে কমন ফান্ডস ফর কমোডিটিসের (সিএফসি) পরিচালনা পর্ষদের ৩২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি এ বক্তব্য তুলে ধরেন।
বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দিন এই সভায় বাংলাদেশের হয়ে বিবৃতি তুলে ধরেন। গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে দুইদিনব্যাপী এ সভা হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন নেদারল্যান্ডসে নিয়োজিত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মারিও ওয়্যারজাবাল। সিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ বেলাল সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন।
আন্তর্জাতিক এই সভায় বাণিজ্য সচিব ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিএফসির পরিচালনা পর্ষদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পণ্যনির্ভর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষত: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার সবসময়ই বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
জাফর উদ্দিন বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলায় সিএফসির উদ্যোগে গ্রিন ওয়ার্থ ফ্রেমওয়ার্ক অব এগ্রিকালচার নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় যে জটিলতা আছে তা-ও নিরসনে উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা দেয়া জরুরি।
সভায় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সন্তোষজনক অগ্রযাত্রা করেছে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পেন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-২০৩০ অর্জন এবং এ লক্ষ্য অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ চলছে।
তিনি কোভিড মোকবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখ করে সিএফসিভুক্ত দেশসগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকারও প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, পণ্য বাজার উন্নয়নে ১৯৮৯ সালে কমন ফান্ডস ফর কমোডিটিস (সিএফসি) গঠিত হয়। এর বর্তমান সদস্য দেশ ১০১টি।